গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
গণহত্যার-আন্তর্জাতিক-স্বীকৃতির-দাবিতে-ঐক্যবদ্ধভাবে-কাজের-আহ্বান-মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১৯৭১-এ বাংলাদেশ জেনোসাইডের স্বীকৃতি চাই: জাতিসংঘ স্বীকৃতি দাও’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এতো সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে এতো বেশি সংখ্যক লোককে হত্যা করার নজির নেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেনোসাইডের সেই নৃশংসতার নজির সৃষ্টি করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুঠতরাজ, উৎখাত, উৎপীড়নসহ একটি জাতিকে বিপন্ন করার সব চেষ্টাই তারা করেছে। স্বাধীনতার পর ৫১ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই নৃশংসতার ঘটনাকে জেনোসাইড হিসেবে জাতিসংঘ আজও স্বীকৃতি দেয়নি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৩ অক্টোবরের আলোচনায় এই দাবিকে জোরালোভাবে উপস্থাপনের জন্য স্বাধীনতার সপক্ষের সব শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইড সম্পর্কে বুকলেট, পেপার, স্থিরচিত্র, ভিডিও উপস্থাপন করে বিষয়টি জাতিসংঘের নজরে আনতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের ৩ নম্বর এজেন্ডায় মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইড ইস্যুটি অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ (বাসুগ), আমরা একাত্তর এবং প্রজন্ম একাত্তরের সম্মিলিত আবেদনে এ এজেন্ডা অন্তর্ভূক্ত করানো সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ৩ অক্টোবর, বাংলাদেশ জেনোসাইড ইস্যুতে আলোচনার জন্য জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনে একটি হল বরাদ্দ করেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ জেনোসাইড ইস্যুটি নিয়ে জোরালো আলোচনার পরিবেশ তৈরির লক্ষেই আমরা একাত্তর, প্রজন্ম ’৭১ এবং বাসুগ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, আমরা একাত্তরের প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রম্য লেখক হিলাল ফয়েজী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রজন্ম ’৭১ এর সভাপতি আসিফ মুনীর এবং জেনোসাইড বিশেষজ্ঞ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ কুমার দত্ত।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন ও প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।