মির্জা ফখরুলের বাবা শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন: কৃষিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
মির্জা-ফখরুলের-বাবা-শান্তি-কমিটির-প্রধান-ছিলেন-কৃষিমন্ত্রী
শনিবার বিকেলে মোছলেহ উদ্দিন ভুঞা স্টেডিয়ামে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর জীবন বাঁচাতে তিনি ছয় মাস ভারতে পালিয়ে ছিলেন। চিন্তা করেন কত বড় রাজাকার এবং পাকবাহিনীর দালাল ছিলেন। ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে পদ্মাসেতু হয়েছে। বাংলাদেশের ১৫ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। আজকে বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে বিদ্যুতের লাইন যায় না; দুর্গম এলাকা, সেখানে সোলারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই, আপনি কি আশ্বিন ও কার্তিক মাসে নীলফামারী লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম এসব চর এলাকায় গেছেন? মানুষের কষ্ট দেখেছেন? প্রতিবছর আশ্বিন ও কার্তিক মাসে এসব এলাকায় মঙ্গা হতো। শত শত লোক না খেয়ে মারা যেত। সেই সময় পত্রপত্রিকায় নিউজ হয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকে আমার গ্রামে দুর্ভিক্ষ দেখেছি। মানুষের কষ্ট দেখেছি। কোনো মানুষের ঘরে খাবার থাকত না। ছনের ঘর দিয়ে পানি পড়ত। সেই বাংলাদেশে আজ ছনের ঘর নেই। সব বাড়িতে বিদ্যুৎ, ভাত রান্নার চুলা আছে। দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে টেলিভিশন-ফ্রিজ আছে। আর ফখরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানের সময় নাকি তারা ভালো ছিলেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।