৩৭ বছরের মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
৩৭-বছরের-মধ্যে-ব্রিটিশ-পাউন্ডের-সর্বোচ্চ-দরপতন
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর নেমে গত ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। আর ইউরোর বিপরীতে গত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। স্টার্লিং 'কালো বুধবারের' ৩০তম বার্ষিকীতে এসব পরিসংখ্যান বের করা হয়েছে, যা ব্রিটেনের অর্থনীতির আশঙ্কাকে আরো জোরদার করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, এদিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর এক শতাংশেরও বেশি কমে ১ দশমিক ১৩৫১ ডলার দাঁড়ায়, যা ১৯৮৫ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। তবে দিনশেষে ১ দশমিক ১৪০৪ ডলারে লেনদেন হয়েছিল পাউন্ড।
কয়েক মাস ধরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বেশিরভাগ প্রধান মুদ্রাই লড়াই করছে, বিশেষ করে পাউন্ড।
এদিকে শুক্রবার পাউন্ডের বিপরীতে ইউরোর দর বেড়ে ৮৭ দশমিক ৭১ পেনি পর্যন্ত উঠেছিল, যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। তবে দিনশেষে শূণ্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে পাউন্ডের বিপরীতে ৮৭ দশমিক ৪৫ পেনিতে লেনদেন হয়েছিল ইউরো।
আরো পড়ুন>> মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে গত আগস্ট মাসে খুচরা পণ্য বিক্রির পরিমাণ মাসিক হিসাবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ পতন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী বছর অন্য যেকোনো বড় অর্থনীতির তুলনায় যুক্তরাজ্যে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। সঙ্গে বাড়বে মূল্যস্ফীতি।
স্যাক্সো ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশলের প্রধান জন হার্ডি বলেন, 'যা চলছে তার সব কিছুর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ওপর। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের বিশাল বাহ্যিক ঘাটতি ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর নীতি সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো। '
নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস গত সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দুই বছরের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানির দাম বাড়ানো স্থগিত করেছেন। এই সিদ্ধান্তে জনগণের সুবিধা হলেও সরকারের ১০ হাজার কোটি পাউন্ডেরও বেশি খরচ হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স