বিএনপি নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছেন: সেতুমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
বিএনপি-নেতারা-নির্লজ্জভাবে-পাকিস্তানের-দালালি-করছেন-সেতুমন্ত্রী
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে নাকি উনারা আরো ভালো ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতাবিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মন্তব্য করতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে- তারা এখনো মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চান। বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত, তখন বিএনপি নেতারা পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করেন। যেখানে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির প্রশংসা করছে। তখন বিএনপি নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে। তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ মন্ত্র জপছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল ও ৩০ লাখ শহিদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। তার এ ধরনের বক্তব্য বিএনপিসহ একটি মহলের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প দেখলে বিএনপি মেগা যন্ত্রণায় ভোগে। কারণ, বিএনপির সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটাই নাজুক অবস্থায় ছিল যে, তারা দেশে কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মানসিকতা, সাহস, দক্ষতা এবং আর্থিক সামর্থ্যের কথা চিন্তাও করতে পারেনি। কারণ, তারা দুর্নীতি ও লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ মঙ্গা-খরা ও দারিদ্র্যকে জয় করে উন্নয়নের নতুন অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ও ষড়যন্ত্রকারীরা যতই অপচেষ্টা চালাক না কেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ দেশবিরোধী সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে উন্নয়নের এ অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সক্ষম হবো।