সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সোশ্যাল মিডিয়া শিশুকে যে ক্ষতি করছে

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

সোশ্যাল-মিডিয়া-শিশুকে-যে-ক্ষতি-করছে

সোশ্যাল-মিডিয়া-শিশুকে-যে-ক্ষতি-করছে

মনোবিদরা বলছেন, যখন একটি ছোট শিশু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে, তখন তার উপর মানসিক চাপ আসতে থাকে। শিশুটি এমন কিছু করতে চায় যা সে সোশ্যাল মিডিয়াতে রাখতে পারে এবং লোকেরা এটি দেখতে পারে। অন্যদের মতো, তিনিও তার জীবনের সুখী দিকগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যদের কাছে দেখাতে পারতেন। এই ধরনের চিন্তা শিশুকে মানসিক চাপ দেয়। এক্ষেত্রে যা জেনে রাখা দরকার:

​মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার সম্পর্ক

শিশুরা তাদের বন্ধু, আত্মীয় এমনকি অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে এটি ব্যবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। মোবাইল ও ল্যাপটপে দিনের বেশি সময় কাটানোর কারণে শিশুরা খেলাধুলা, পড়া এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতেও কমতে শুরু করেছে। এর প্রভাব তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দৃশ্যমান।

কম ঘুম

অল্পবয়সী শিশুদের মধ্যে, তাদের স্বাস্থ্যের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে, যেমন ঘুমের অভাব। সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে শিশুরা কম ঘুমাতে শুরু করেছে, যার কারণে মনোযোগ ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব রয়েছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে।

​সম্পর্কের উপর প্রভাব

যদিও সোশ্যাল মিডিয়া যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য একটি ভালো হাতিয়ার, তবে ডিজিটালভাবে যোগাযোগ রাখা এবং আপনার চারপাশের লোকেদের সঙ্গে মুখোমুখি যোগাযোগ বজায় রাখার মধ্যে একটি বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এই ধরনের লোক- যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের সঙ্গে বেশি সংযুক্ত থাকে, তারা তাদের আশেপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বা যোগাযোগ বজায় রাখতে কম পছন্দ করে। যার কারণে বাস্তব জীবনের সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়।

​আচরণে পরিবর্তন

সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে ঈর্ষার অনুভূতি লক্ষ্য করা গেছে। যেহেতু, সোশ্যাল মিডিয়াতে লোকেরা তাদের জীবনের আনন্দদায়ক দিকগুলি একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়, যার কারণে কিশোর শিশুরা তাদের সুখী জীবনের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে শুরু করে। তুলনার কারণে শিশুদের মধ্যে ঈর্ষার অনুভূতি শুরু হয়। আচরণের এই পরিবর্তনের কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করা যেতে পারে।

সূত্র: এই সময়