সঙ্গীর প্রতি কে বেশি বিশ্বস্ত, নারী নাকি পুরুষ
প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
সঙ্গীর-প্রতি-কে-বেশি-বিশ্বস্ত-নারী-নাকি-পুরুষ
বিশেষ করে, দুটি মানুষ কখনোই এক হয় না। প্রত্যেকের নিজেস্ব পছন্দ-রুচি আছে। তাই সমস্যা লেগেই থাকে। তবে প্রেমে পড়লে মানুষে সবটুকু নিয়েই থেকে যেতে চায়। কিন্তু এই প্রেম যদি পরকীয়া হয় তাহলে? সেক্ষেত্রে, এক পক্ষের কাছে এই প্রেমের শুরুতেই পরিণতি উক্তিটির শেষাংশের মতো হয়।
অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক অপূর্ণতা থেকেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয় এবং মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। তবে নারী না পুরুষ, কাদের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ানোর প্রবণতা বেশি?
সমীক্ষা বলছে, নারীদের। বিখ্যাত লেখক, ওয়েডসডে মার্টিন এই বিষয়ে দীর্ঘকাল গবেষণা করেন। সেই গবেষণার ফলাফল হিসেবে তিনি জানান, সমাজ মনে করে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নারীদের যৌন চাহিদা কমে যায়। কিন্তু এমনটা একদমই না। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীরা যৌন জীবনে বেশি বৈচিত্র খোঁজেন। লেখকের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছে একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপ।
‘গ্লিডেন’ নামের একটি বিবাহ বহির্ভূত অ্যাপ ৩০-৬০ বছর বয়সী নারীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে। আর এই ৪৮ শতাংশের একটি বড় অংশ এক সন্তানের মা।
তবে এই সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে আরো একটি তথ্য। যেসব নারীরা পরকীয়ায় জড়ান, তাদের ৫২ শতাংশের শরীরচর্চার অভ্যাস আছে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, শরীরচর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকলেই এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন? গবেষণা বলছে, শরীরচর্চা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও তাজা রাখে। ফলে যৌন জীবন ও প্রেমকে আরো আনন্দমুখর ও উত্তেজক করার প্রবণতা তাদের বেশি। তাহলে বাকি যারা নিয়মিত শরীরচর্চার সাথে যুক্ত নন, তাদের পরকীয়ার কারণ কী? সেক্ষেত্রেই উঠে আসছে নানা প্রসঙ্গ। মূলত উঠে আসছে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের কাছের মানুষের কাছ থেকে অসহযোগিতা, অসন্তোষ, সম্মান না পাওয়া, একাকিত্ব ইত্যাদি আরো নানা কারণ।
সূত্র: জিনিউজ