ধার-দেনা শোধ হয়নি, এর আগেই সৌদির সড়কে প্রাণ গেল জনির
প্রকাশিত : ১২:০০ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ধার-দেনা-শোধ-হয়নি-এর-আগেই-সৌদির-সড়কে-প্রাণ-গেল-জনির
নিহত জনি মিয়া কটিয়াদী পৌর সদরের বাগরাইট এলাকার বিল্লাল মিয়ার বড় ছেলে।
জানা যায়, জনি সৌদি আরবের জিজান শহরে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। নাইট ডিউটি শেষে রুমে আসেন জনি। পরে হাত মুখ ধুয়ে হোটেল থেকে নাস্তা আনার জন্য বাইসাইকেলে চড়ে বাইরে যান তিনি। পথে পেছন থেকে দ্রুত গতির একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই জনির মৃত্যু হয়। এ খবর জনির সহকর্মী আব্দুল হাকিম মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে খবর পৌঁছাতেই শুরু হয় শোকের মাতম।
ধার-দেনা করে জনি মিয়া মাত্র দেড় বছর আগে সংসারের আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। এখনও তার ধার-দেনা পরিশোধ হয়নি। এরই মধ্যে তার প্রাণ গেল সৌদির সড়কে।
জনির বাবা বিল্লাল মিয়া জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে জনি বড়। তিনি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করেন। তার অল্প আয় দিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চলে। দেড় বছর আগে সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য ধার-দেনা করে বড় ছেলে জনিকে সৌদি আরবে পাঠান। ছেলের পাঠানো টাকায় কিছু ধার-দেনা পরিশোধ করেছেন তিনি। এখনও অনেক ঋণ রয়ে গেছে তার।
তিনি আরো জানান, কিভাবে এ ঋণ পরিশোধ করবো বুঝতে পারছি না। সকালে জনির সহকর্মী মোবাইল ফোনে দুর্ঘটনার খবর আমাদেরকে জানায়। সরকারের কাছে দাবি ছেলের লাশটা যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেয়।
কটিয়াদী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় জনির পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জনির আত্মার শান্তি কামনা করছি। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।