বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য সরকারের: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

মানবিক-ও-সামাজিক-কল্যাণ-রাষ্ট্র-গঠনের-লক্ষ্য-সরকারের-তথ্যমন্ত্রী

মানবিক-ও-সামাজিক-কল্যাণ-রাষ্ট্র-গঠনের-লক্ষ্য-সরকারের-তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভবিষ্যতের পথ চলায় দেশকে একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এই কাজ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সবাইকে এজন্য ব্রতী হতে হবে।

বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্স আয়োজিত ‘তারুণ্যে উদ্দীপ্ত বরেণ্য প্রবীণ বিদগ্ধজন ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ সংবর্ধনা গ্রন্থে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের মধ্যে মানবিকতার বিকাশ না ঘটলে, নতুন প্রজন্ম উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পিতা-মাতা ও গুরুজনদের শ্রদ্ধা করতে না জানলে মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমি মনে করি এটি নিয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। সবাই এটি নিয়ে ভাবলে অবশ্যই সমাজ এগিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ড. খলীকুজ্জামানের মতো গুণীজনের কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম ও সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে গুণীদের সম্মান করতে হবে। যে সমাজ গুণী মানুষকে সম্মান করে না, সেই সমাজে গুণী মানুষ তৈরি হয় না। ড. খলীকুজ্জামান আরো বহু বছর দেশের অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবেন বলে আমি আশা করি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাপী বস্তুগত উন্নয়ন আর যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষও যন্ত্রের মতো আচরণ করছে। মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে, মানুষ আত্মকেন্দ্রিক এবং সমাজ এককেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রাজ্ঞজনরা অবদান রাখবেন, সেটিই প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম, অর্থনীতিবিদ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, অধ্যাপক শফি আহমদ, অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।