বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বামীর ক্যান্সার শুনে স্ত্রীর আত্মহত্যা, প্রাণ দিলেন ছেলেও

প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

স্বামীর-ক্যান্সার-শুনে-স্ত্রীর-আত্মহত্যা-প্রাণ-দিলেন-ছেলেও

স্বামীর-ক্যান্সার-শুনে-স্ত্রীর-আত্মহত্যা-প্রাণ-দিলেন-ছেলেও

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কল্যাণীতে এক মা ও তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ছেলের পায়ের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কল্যাণীর বি ব্লকের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মণ্ডল। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। বেশ কয়েক বছর আগেই অবসর নিয়েছেন বিশ্বনাথ। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বনাথের স্ত্রী মঞ্জু মণ্ডল ও তার ছেলে শুভদীপ মণ্ডলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।

বিশ্বনাথের দাবি, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না তিনি।

বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রী ও পুত্রের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাদের কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথের অবসরকালীন ভাতায় সংসার চলতো। চাকরি পাননি শুভদীপ। সম্প্রতি কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে বিশ্বনাথের। তার চিকিৎসায় খরচ হয়ে যায় জমানো টাকা। বুধবার চিকিৎসার জন্য  ভেলোর যাওয়ার কথা ছিল। ২১ সেপ্টেম্বর সেখানকার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞকে দেখানোর কথাও ছিল বিশ্বনাথের। কিন্তু তার আগেই ঘটল এ মর্মান্তিক ঘটনা।

বিশ্বনাথ বলেন, ছেলে মঞ্জু আমাকে বলছিল যে, তুমি না থাকলে আমরা কী করে বাঁচব? আমি তাদের বুঝিয়েছি। বলেছি, আমার যা বয়স তাতে স্বাভাবিকভাবে হলেও আর ৪-৫ বছর বাঁচব। না হয় দুই বছর কমই বা বাঁচব। তা নিয়ে চিন্তা করছ কেন? কিন্তু আমার কথায় তারা খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারেনি। 

তিনি রো জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ তাকে জোর করে ব্যাংকে পাঠান তার স্ত্রী মঞ্জু। তখনই মা ও ছেলে ঘরের সিলিংফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে দাবি বিশ্বনাথের।