বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাছ ধরার নৌযানে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, জানা যাবে অবস্থান

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

মাছ-ধরার-নৌযানে-বসছে-অত্যাধুনিক-প্রযুক্তি-জানা-যাবে-অবস্থান

মাছ-ধরার-নৌযানে-বসছে-অত্যাধুনিক-প্রযুক্তি-জানা-যাবে-অবস্থান

সমুদ্রে মাছ ধরার নৌযানের অবস্থান শনাক্তসহ তদারকি করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যাবে নৌযানের সার্বিক তথ্য। 

মৎস্য অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের আওতায় এসব প্রযুক্তি বসানো হবে। প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে সাড়ে আট হাজার আর্টিসেনাল নৌযানে জিএসএম, দেড় হাজার ভার্টিসেনাল নৌযানে এআইএস ও পাঁচটি বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারে ভিএমএস বসানো হবে।

এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কী পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে এবং সীমারেখা পেরিয়ে নৌযানগুলো মাছ ধরছে কিনা, তাও নির্ণয় করা যাবে। এমনকি কোনো নৌযান দুর্ঘটনায় পড়লে তার অবস্থান শনাক্ত করে দ্রুত উদ্ধার করা যাবে জেলেদের। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্রের ২০-৩০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে মাছ ধরা নৌযানকে বলা হয় আর্টিসেনাল। আর্টিসেনাল নৌযানের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বড় যান্ত্রিক নৌযানের নাম ভার্টিসেনাল। এ ধরনের নৌযানে করে সমুদ্রের আরো গভীরে গিয়ে মাছ ধরেন জেলেরা।

বর্তমানে সারাদেশে ২৫০টি বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলার রয়েছে। আর আর্টিসেনাল ও ভার্টিসেনাল যান্ত্রিক নৌযান রয়েছে ৩০ হাজার।  এসব নৌযানে তিন ধরনের প্রযুক্তি বসানো হবে। এগুলো হলো গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন (জিএসএম), অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) ও ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম (ভিএমএস)।

জানা গেছে, এসব ডিভাইস পেতে আগে রেজিস্ট্রেশন করেছে এমন ১০ হাজার পাঁচটি নৌযানকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এর বাইরে বাকিদের সমুদ্রে মাছ ধরতে হলে এসব ডিভাইস কিনে ব্যবহার করতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্য আইনের বিধিতে সব নৌযানে এ ধরনের ডিভাইস সংযুক্ত করার বিধান থাকবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মূলত নৌযানগুলো নজরদারিতে রাখা হবে। মাছ ধরার ক্ষেত্রে সরকারের যে বিধিবিধান সেটি তারা মানছে কি না হবে তা দেখা। মেরিন প্রোটেকটিভ এলাকা আছে যেখানে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ থাকে, সেখানে কেউ মাছ ধরছে কি না তা নির্ণয় করা হবে। বর্তমানে এসব এলাকায় মাছ ধরলেও তা ধরা কঠিন। কিন্তু প্রযুক্তি বসানোর পর জেলেরা এসব কার্যক্রম করলে সেই তথ্য চলে আসবে। ফলে সেই নৌযানকে মেসেজ পাঠিয়ে করা হবে সতর্ক।

এসব প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরা নৌযান শনাক্তে নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সমুদ্রগামী নৌযানের অবস্থান জানা যাবে এবং এগুলো সহজেই মনিটর করা যাবে। কোনো নৌযান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেন সমুদ্রে মাছ আহরণ করতে না পারে সেটি তদারকি করা সম্ভব হবে এসব ডিভাইসে।