বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

দেশের-প্রথম-সুপার-স্পেশালাইজড-হাসপাতাল-উদ্বোধন-আজ

দেশের-প্রথম-সুপার-স্পেশালাইজড-হাসপাতাল-উদ্বোধন-আজ

রাজধানীর শাহবাগে প্রায় ১২ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল আজ উদ্বোধন করা হবে। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে গড়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন।তবে হাসপাতালটির সব যন্ত্রপাতি এখনো না এলেও শতভাগ অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এর মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ফাইভস্টার মানের বিশেষায়িত এ হাসপাতালে থাকবে আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানান সুবিধা। আর খরচও থাকবে সাধারণের নাগালে।

জানা গেছে, ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটির রয়েছে দ্বিতল বেজমেন্ট। ৭৫০ শয্যার হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ শয্যার আইসিইউ। জরুরি বিভাগে থাকবে ১০০ শয্যা, ভিভিআইপি কেবিন ছয়টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিল্যাক্স শয্যা থাকবে ২৫টি। সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে আটটি করে শয্যা। হাসপাতালটিতে থাকবে এক্স-রে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব ডায়াগনস্টিক সুবিধা।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিশেষজ্ঞসহ মোট ৩শ চিকিৎসক ও ১২শ স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করার কথা রয়েছে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটিতে উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৮০ জন চিকিৎসকসহ মোট ১৪০ জন নার্স ও কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ জন চিকিৎসকসহ ৪৬ জন কোরিয়া থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছেন।

বিশেষায়িত এ হাসপাতালে কমমূল্যে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে জানিয়ে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসপাতালটিতে উন্নতমানের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও এখানে প্যাথলজি, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের মতোই রাখা হবে। এক্ষেত্রে খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। তবে এখানে ভর্তি রোগীদের শয্যায় কিছুটা খরচ বাড়তে পারে। তাও খুব বেশি নয়। আমরা স্বল্পমূল্যেই উন্নত সব সেবা এখানে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তখন থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে কোটি কোটি টাকা যাতে খরচ না হয়। বিশ্বমানের চিকিৎসা যেন বাংলাদেশেই দেওয়া যায়। চিকিৎসার জন্য আর যেন বিদেশে না যেতে হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।