বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ভারত-বাংলাদেশের-পরীক্ষিত-বন্ধু-রাষ্ট্র-বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত-বাংলাদেশের-পরীক্ষিত-বন্ধু-রাষ্ট্র-বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে, আরো বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের আন্তরিকতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগগুলো কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিসম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। দু’দেশের সরকার প্রধানের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সুযোগ-সুবিধার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এতে উভয় দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতাগুলো দূর হলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বাড়বে।

উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ীক জটিলতা দূর করতে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাই স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতি কৃতজ্ঞ। সেপা চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আশাবাদী। এতে করে সেবা ও পণ্য বাণিজ্য বিনিয়োগ মেধাস্বত্ব ও ই-কমার্স এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা যাবে। উভয় দেশের বাণিজ্য আরো বাড়বে।

বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময়টা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক কাজ হয়েছে। আরো অনেক কাজ করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে, আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা বন্দরকে আরো কার্যকর করে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। পোর্টগুলোর সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি সম্প্রতি ভারত সফল উভয় দেশের সরকার প্রধানের আলোচনা ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর বেশ প্রভাব পরবে। সেপা চুক্তি উভয় দেশের জন্য ভালো হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সড়ক পথ যোগাযোগ খুবই ব্যবসা বান্ধব হবে। আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকেবে।