নারী অধিকার বাস্তবায়নে মহিলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: স্পিকার
প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
নারী-অধিকার-বাস্তবায়নে-মহিলা-পরিষদ-গুরুত্বপূর্ণ-ভূমিকা-রাখছে-স্পিকার
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ১৯৯৬ সাল ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নারী আন্দোলনের দাবি পূরণের স্বর্ণযুগ।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারী সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্পিকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নারীবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো সংবেদনশীল নারী নেতৃত্বের ফলে নারী সুরক্ষা আইন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্যতার হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনা, নারীদের সুরক্ষায় বিভিন্নরকম ভাতা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে ‘অনন্য নেতৃত্ব’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- জাকিয়া পারভিন খানম এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি, লুৎফুন্নেসা খান এমপি প্রমুখ।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের সুযোগ রাখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নারীদের এগিয়ে নেয়ার কথা ভেবে সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে ৭৩ জন নারী সদস্য রয়েছেন- যা বিশ্বের অনেক দেশ এখনো করতে পারেনি। আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিকরা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা রয়েছেন। তিনি আগামীতে সরাসরি ভোটে নির্বাচন করার জন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
স্পিকার আরো বলেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। নারী সংসদ সদস্যরা বিষয়ভিত্তিক ও গ্লোবাল ইস্যুতে এবং জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রয়াণে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম।