বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভয়াবহ বিপদ ছিল প্রিয়াঙ্কার

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ভয়াবহ-বিপদ-ছিল-প্রিয়াঙ্কার

ভয়াবহ-বিপদ-ছিল-প্রিয়াঙ্কার

ব্রেন স্ট্রোক! তার পরেও ১৫ দিন শুটিং করেছেন নায়িকা। এখনো চলছে ওষুধ। কিন্তু দায়িত্ব নিলে কোনো কাজ বাকি রাখেন না তিনি। এমনই এক জন মানুষ প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য (বাবলি)। সম্প্রতি সেই কঠিন সময়ের কথা বললেন টলি নায়িকা। শুনলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ প্রতিযোগী হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই জানা গেল, কয়েক মাস আগেই মারাত্মক বিপদে কেটেছে নায়িকার। ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তার।

সেই সময়ে ‘অপরাজিতা অপু’র ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন তিনি। আর ১৫ দিন বাদেই মেগা শেষ হয়ে যেত যদিও। কিন্তু প্রবল কাজের চাপ চলছিল তার। মেগার পাশাপাশি তিনি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছিলেন। তাছাড়া সেই সময়ে তার বড় ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে মেতে রয়েছে পরিবার। সব দিকেই একইভাবে সময় দিতে হচ্ছিল প্রিয়াঙ্কাকে। ঘুমের অভাবে শরীরে ক্লান্তি ভর করে। খাওয়া দাওয়াও ঠিক হচ্ছিল না। কেবল কালো কফি খেয়ে দিন কাটছিল।

তার থেকে বড় কথা, প্রিয়াঙ্কার বাড়ি আন্দুলে। প্রতিদিন কাজের জন্য আন্দুল থেকে টালিগঞ্জে যেতে হয়, আবার ফিরতে হয় তাকে।

এমনই এক দিন, দাদার বৌভাতের রাতে ঘটনাটি ঘটে। ভোর ৪-৫টা নাগাদ ঘুমোতে গিয়েছিলেন তিনি। মাকে বলেন, আলো নিভিয়ে দাও। শরীর ভাল লাগছে না। তার পরেই ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক হয়ে যায় তার।

তবে প্রিয়াঙ্কা নিজে কিছুই বুঝতে পারেননি। পরদিন সকালে উঠে যখন প্রিয়াঙ্কা দাঁত মাজছেন তখন খেয়াল করেন মুখ থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। বাঁ পাশের চোখ ডলতে পারছেন না। সেটে গিয়ে সংলাপ পর্যন্ত বলতে পারছিলেন না। কিন্তু কাজের চাপে ডাক্তার দেখানো হয়নি। তিন দিন পরে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে জানতে পারেন, মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে তার। সঙ্গে সঙ্গে কড়া ওষুধ আর বিশ্রামের পরামর্শ দেন।

কিন্তু মেগার শুট আর ১৫ দিন বাকি ছিল। তাই বিশ্রাম ভুলে শুটিং করতে হয়েছে তাকে। কাউকে বিপদে ফেলতে চাননি প্রিয়াঙ্কা। তবে সেটে সকলে তাকে খুবই সাহায্য করেন বলে সুস্থ ভাবে কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন।

যদিও কোনো কোনো দৃশ্যে গ্লিসারিন ছাড়া কাঁদতে হয়েছে বলে শরীরে কষ্ট হয়েছে। চোখের শিরায় রক্ত জমে গিয়েছে। তাও তিনি কাজ ছেড়ে চলে যাননি। মেগা শেষ করার পরেই বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। যদিও এখনো বিশ্রামে থাকতে হয় তাকে।