জন্ম এক দেশে বিশ্ব খেলোয়াড় অন্যদেশের!
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার
জন্ম-এক-দেশে-বিশ্ব-খেলোয়াড়-অন্যদেশের
দৈনিক প্রভাতীের পাঠকদের জন্য এমন কয়েকজন ক্রিকেটারের কথা তুলে ধরা হলো।
ইয়ন মরগান
দুই দেশের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছেন ইয়ন মরগান। প্রথমে আয়ারল্যান্ড ও পরে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন এই তারকা। মরগান আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২৩টি ওয়ানডে খেলেছেন। এরপরই এই বাঁ-হাতি খেলোয়াড়ের ডাক পড়ে ইংল্যান্ডে। ২০০৯ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২২৭ ওয়ানডেতে করেছেন ৭২২৬ রান।
ইমরান তাহির
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম ভরসার নাম ইমরান তাহির। বয়স ৪০ হলেও এখনো ভেল্কি দেখাচ্ছেন তাঁর গুগলি দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেললেও এই তারকার জন্ম লাহোরে। পাকিস্তানের যুব দলের হয়েও খেলেছেন ইমরান। এরপরই পাড়ি দেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। হয়েছেন সগল বোলার। ১০৩ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৭০ উইকেট।
বেন স্টোকস
বেন স্টোকস বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তার জন্ম হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। রাগবি খেলোয়াড় বাবার সঙ্গে খুব ছোটবেলায় ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন স্টোকস। ১৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট-প্যাড নিয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। ৮৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৩৩৭ রান রয়েছে স্টোকসের ঝুলিতে।
ইমাদ ওয়াসিম
ইমাদ ওয়াসিমের জন্ম হয়েছিল ওয়েলসের সোয়ানসিতে। তিনি এখন পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলছেন। ছোটবেলায় পেসার হিসেবে দক্ষ হয়ে উঠলেও এখন স্পিন বোলিং করছেন ইমাদ। তবে ব্যাট হাতেও কম যান না তিনি। ৪৮টি ওয়ানডেতে তিনি তুলেছেন ৮২৫ রান।
জেসন রয়
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জেসন রয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি খেলেছেন ১৮০ রানের ইনিংস । জেসনের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে। জেসনের ছোটবেলাতেই তার পরিবার ইংল্যান্ডে পাড়ি দেয়। ৮০টি ওয়ানডেতে এই ব্যাটসম্যানের ঝুলিতে রয়েছে ৩১৫৩ রান।
টম কুরান
বাবা ও ছেলে ভিন্ন ভিন্ন দেশের জার্সিতে খেলার রেকর্ড রয়েছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার টম কুরানের। টমের বাবা কেভিন কুরান খেলেছিলেন জিম্বাবুয়ের হয়ে। টম খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে জন্মানো টম এখন বিশ্বের অন্যতম তরুণ প্রতিভা।
কলিন ডে গ্র্যান্ডহম
অলরাউন্ডার হিসাবে নিউজিল্যান্ডের বড় ভরসা কলিন ডে গ্র্যান্ডহম। তবে কলিনের জন্ম জিম্বাবুয়েতে। ২০০৪-এ সে দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও খেলেছিলেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে তিনি বেশ ব্যাট চালাতে পারেন। সঙ্গে ফাস্ট বোলিংয়ের হাতটাও বেশ ভালো। ৩১টি ওয়ানডেতে ৪৫৮ রান ছাড়াও তিনি বল হাতে তুলে নিয়েছেন ২১ উইকেট।
জোফরা আর্চার
জোফরা আর্চারের জন্ম বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে হলেও তিনি ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন আর্চার। ইংল্যান্ডের সাসেক্সের হয়ে খেলে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বিবিএল-এ হোবার্ট হ্যারিকেনের হয়ে মাঠে নামেন। আইপিএল খেলেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে।
উসমান খাজা
উসমান খাজার জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ২০১১ সালে। অজি দলে তিনিই মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রথম ক্রিকেটার। ৩৬টি ওয়ানডেতে ১৩৩৬ রান করেছেন তিনি।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা কয়েকজন খেলোয়াড়ের জন্ম অন্যদেশে বা তারা অন্যদেশ থেকে ইংল্যান্ডে আসেন।
দৈনিক প্রভাতী/আরএস