বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন নিলামে তুলেছেন সাবেক প্রেমিকা

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ইলন-মাস্কের-ব্যক্তিগত-স্মৃতিচিহ্ন-নিলামে-তুলেছেন-সাবেক-প্রেমিকা

ইলন-মাস্কের-ব্যক্তিগত-স্মৃতিচিহ্ন-নিলামে-তুলেছেন-সাবেক-প্রেমিকা

এবার নিলামে উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের কলেজ জীবনের কিছু মূল্যবান ছবি। সেই ছবি নিলামে তুলছেন তার সাবেক প্রেমিকা জেনিফার গোয়েন। এতে জেনিফারের সঙ্গে ইলন মাস্কের কাটানো বেশকিছু মূহুর্তের ছবিও রয়েছে। নিলামে তোলায় তাদের সম্পর্কের স্মৃতিচিহ্নগুলো বেশ সাড়া ফেলেছে।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় জেনিফার গোয়েন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন। সেই স্মৃতিচিহ্ন নিলামে তুলেছে বোস্টনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম আরআর অকশন।

ইলন মাস্কের তারুণ্যে ভরা সেই মুহূর্তগুলোর এ রকম ১৮টি ছবি, একটি হাতে লেখা জন্মদিনের কার্ড ও একটি সোনার নেকলেস নিলামে তোলা হয়েছে। সেই নেকলেস মাস্ক তার সাবেক প্রেমিকাকে উপহার দিয়েছিলেন।

রোববার রাত পর্যন্ত জন্মদিনের কার্ডটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে, যদিও কার্ডটি ১০ হাজার ডলারে বিক্রি হবে বলে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানটি আশা করছেন।

নিলামে তোলা আরেকটি আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে, জাম্বিয়ার খনি থেকে তোলা পান্নাখচিত সোনার নেকলেস। যেটির মূল মালিক ছিলেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল।

জেনিফার জানান, ১৯৯৪ সালে ক্রিসমাসের ছুটিতে যখন তারা দুজনে টরন্টোতে ইলন মাস্কের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তাকে ‘ভালোবাসা, ভালোবাসা, ভালোবাসা’-লেখা ছোট্ট চিরকুটসহ এ নেকলেসটি উপহার দেন তিনি।

ছবির মধ্যে আরো রয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে ইলন মাস্কের আড্ডা দেওয়া, ডরমিটরির ছবি ও গোয়েনের সঙ্গে তোলা কিছু ছবিও।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন১৯৯৪ সালে মাস্কের সঙ্গে ডেটিং করেছিলেন। তার সৎ ছেলের কলেজের টিউশন ফির অর্থ সংগ্রহের জন্য আইটেমগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ইনসাইডার এডিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গোয়েন বলেন, টেসলা ইনকর্পোরেটেডের মালিক প্রায় ৩০ বছর আগে তার সঙ্গে সময় কাটানোর সময় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি কল্পনা করেছিলেন।

বিখ্যাত উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো আইটেম আরআর অকশন কোম্পানি প্রথম নিলামে তুলছে এমনটি নয়। এর আগে, স্টিভ জবসের প্রথম অ্যাপল-১ প্রোটোটাইপের জন্য ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার হাঁকে কোম্পানিটি।