বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জুরিখে আমন্ত্রিত ‘অন্যদিন’

প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

জুরিখে-আমন্ত্রিত-অন্যদিন

জুরিখে-আমন্ত্রিত-অন্যদিন

সুইজারল্যান্ডের জুরিখ চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছে কামার আহমাদ সাইমনের ‘অন্যদিন’। উৎসবের গোল্ডেন আই পুরস্কারের জন্য এটিসহ প্রতিযোগিতা করবে ১৪টি চলচ্চিত্র।

সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া উত্তর আমেরিকার আরও দুটি চলচ্চিত্র উৎসব ক্যামডেন ও ভ্যানকুভারে আমন্ত্রিত হয়েছে সিনেমাটি। একই মাসে পরপর তিনটি উৎসবে আমন্ত্রণ কামারকে ফেলেছে এক মধুর সমস্যায়।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উৎসবে ‘অন্যদিন’ এর প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে সিনেমাটির নির্মাতা ও প্রযোজককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

ক্যামডেনে অংশ নিচ্ছেন কামার। তবে ভ্যানকুভার ও জুরিখে উৎসবের তারিখ কাছাকাছি হওয়ায় ভ্যানকুভারের এত কাছে গিয়েও উৎসব কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারছেন না তিনি।

‘অন্যদিন’ সিনেমা নিয়ে ধারণা দিতে গিয়ে কামার বলেন, ‘হাইব্রিড ফিকশন ব্লেন্ডেড উইথ রিয়েলিটি বা সত্য গল্প’।

গত নভেম্বরে ওয়ার্ল্ড টপ-টেন ফেস্টিভ্যাল ইডফার মূল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেয়েছিল ‘অন্যদিন’। বিশ্ব-অভিষেক হয়েছিল দুনিয়ার সুন্দরতম থিয়েটার আমস্টারডামের পাথে তুসানসকিতে। এর আগে মার্চে নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মুভিং ইমেজ বা মমি’র ফার্স্ট লুক ফেস্টিভ্যালে ১৮টি নির্বাচিত ফিচারের মধ্যে প্রথম বাংলা ছবি ছিল ‘অন্যদিন’।

গেল জুনে ‘অন্যদিন’ ছিল সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে, যেখানে অস্ট্রেলিয়ান সেগমেন্টে জুরির দায়িত্বেও ছিলেন কামার।

২০১৪ সালে সানড্যান্স থেকে গ্রান্ট অ্যাওয়ার্ড জয় করে ‘অন্যদিন’-এর কাজ শুরু করলেও সিনেমার গল্প নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কামার। স্ক্রিপ্টের জন্য ২০১৬ সালে লোকার্নোতে প্রথম কোনো বাংলাদেশি নির্মাতা হিসাবে পিয়াতজা গ্রান্দায় রেড কার্পেট ডিরেক্টরের সম্মাননা দেয়া হয়েছিল কামারকে।

একইসঙ্গে তিনি পেয়েছিলেন ওপেন ডোর্সে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার এবং আর্তে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ। আর ২০১৭-তে পেয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনফন্দেশিওনে এক্সক্লুসিভ আমন্ত্রণ।

দশ বছরের বেশি সময় ধরে একটি ওয়াটার ট্রিলজি বা জলত্রয়ীর কাজ করছেন কামার, যেখানে প্রথম সিনেমা ‘শুনতে কি পাও!’ আর দ্বিতীয় ছবি ‘অন্যদিন’। লোকার্নোর ওপেন ডোর্স এবং জার্মানির ডক-লাইপজিগের উদ্বোধনী সিনেমা ছিল ‘শুনতে কি পাও!’

প্যারিসে সিনেমা দ্যু রিলে গ্রাপ্রি, মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন কোঞ্চ বা স্বর্ণশঙ্খ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আরও বেশকিছু পুরস্কার জয় করেছিল সিনেমাটি।