বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি থাকে

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

১৫-থেকে-৩০-বছর-বয়সে-আত্মহত্যার-প্রবণতা-বেশি-থাকে

১৫-থেকে-৩০-বছর-বয়সে-আত্মহত্যার-প্রবণতা-বেশি-থাকে

আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হিসেবে ইগোকে দায়ী করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৫ থেকে ৩০ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ইগো বেশি থাকে। এ সময় আত্মহত্যার প্রবণতাও বেশি থাকে। বাবা-মা অথবা অভিভাবকদের এ বয়সী ছেলেমেয়েদের সময় দিতে হবে, খোঁজ-খবর রাখতে হবে।

সোমবার বিএসএমএমইউ’র শহিদ ডা. মিলন হলে ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি করো’ স্লোগান সামনে রেখে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সুইসাইড ক্লিনিকের উদ্যোগে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, আত্মহত্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিপ্রেসন। ইদানিং ডিপ্রেসন বেড়ে গেছে। করোনায় অনেকের ডিপ্রেসনের কারণে ব্লাড প্রেশারও বেড়ে গেছে। যাদের ডায়াবেটিস ছিল না তাদেরও হয়েছে। অনেকের চোখে সমস্যা হচ্ছে, আগে অনেকে চশমা না পরলেও এখন প্রয়োজন হচ্ছে।

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, একা থাকার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে অনেকে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আবেগের কারণে ছেলে-মেয়েরা প্রেম ভালোবাসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেম-ভালোবাসাজনিত বিচ্ছেদের কারণেও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জেনেটিক কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করে। পরিবারের মধ্যে কারো যদি এ ধরনের প্রবণতা থাকে তাদের এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

এ সময় আত্মহত্যার কারণ, সম্প্রতি আত্মহত্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং প্রতিকার বের করার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

সেমিনারে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিডি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, এটিসিবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার, মনোশিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. এম মুহিত কামাল, বিএসএমএমইউ’র মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ প্রমুখ অংশ নেন।