শাস্তি না মেনে আপিলে যাচ্ছে বারিধারা
প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
শাস্তি-না-মেনে-আপিলে-যাচ্ছে-বারিধারা
বাফুফের দেওয়া শাস্তির বিপক্ষে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর বারিধারা ক্লাব। এর আগে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিসিপ্লিনারি কমিটি উত্তর বারিধারা ক্লাবকে দুই স্তর নামিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে দিয়েছে।
রোববার উত্তর বারিধারা ক্লাব নিজেদের প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান।
বাফুফের এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেই খেলার আবেদন জানিয়ে ফেডারেশনে আপিল করবে ক্লাবটি।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের কোনো কর্মকর্তা বা ক্লাব কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নয় এবং শাস্তিও পায়নি তাহলে ক্লাবকে কেন শাস্তি পোহাতে হবে। ক্লাব এর সঙ্গে সম্পৃক্তও নয়। তাই আমরা বাফুফের আপিল কমিটির কাছে আবেদন জানাব আমাদের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেই খেলার অনুমতি দেয়ার জন্য।’
এর আগে বাফুফের লিগ্যাল অফিসার ৮ সেপ্টেম্বর এক চিঠির মাধ্যমে উত্তর বারিধারা ক্লাবকে শাস্তির বিষয় অবগত করে। সেখানে উত্তর বারিধারা ক্লাবের ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে মিডিয়ার প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ রয়েছে।
এর পরই এ বিষয়ে ফুটবলাঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কারণ মিডিয়া সবচেয়ে সরব ছিল চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে আজমপুরের ইস্যুতে। অসংখ্য রিপোর্ট হওয়ার পরও বাফুফে বলেছে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে আজমপুরকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি।
উল্টো বারিধারাকে নিয়ে তেমন প্রতিবেদন না হলেও মিডিয়ার প্রতিবেদন শাস্তি প্রদানের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে।
বারিধারার শেখ জামাল ও আবাহনীর বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পেয়েছে বাফুফে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ওই দুই ম্যাচ বাফুফের নজরে আনে।
বারিধারা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়ও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এএফসির কথা বলে আমাদের সাজা দেয়া হচ্ছে। আমাদের পরিষ্কারভাবে কিছু বলেনি কোথায় কি হয়েছে।’
উত্তর বারিধারা ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায় আসন্ন মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার কথা। পাতানো ইস্যুতে তাদের আরো দুই ধাপ নিচে নামিয়ে দ্বিতীয় স্তরে দিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
কেবল তাই নয়, এর পাশাপাশি ক্লাবকে আর্থিক জরিমানা ও ৫ জন ফুটবলারকে দুই বছরের জন্য ফুটবলের কর্মকান্ড থেকে নিষিদ্ধ করে বাফুফে।