বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৫০ বছর ধরে জমা করা বই দান করলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধ

প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

৫০-বছর-ধরে-জমা-করা-বই-দান-করলেন-৮০-বছরের-বৃদ্ধ

৫০-বছর-ধরে-জমা-করা-বই-দান-করলেন-৮০-বছরের-বৃদ্ধ

মিসরের দাকহালিয়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করেন বইপ্রেমী হামদুল্লাহ আবদুল হাফিজ। টানা ৫০ বছর ধরে বই সংগ্রহ করেছেন ৮০ বছর বয়সী এ বৃদ্ধ। অর্ধশতাব্দিকালে তার ঘরে জমা হয় ১৫ হাজারের বেশি বই। সব বই নিজের কাছে রেখে দেননি তিনি। বরং পড়ার সুযোগ দিয়েছেন গ্রামের পাঠকদের। নিজের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দরজার খোলা রেখেছেন সব সময়। পাঠকদের কাছে বই ধার দিয়ে সবার প্রিয়জনে পরিণত হন বৃদ্ধ হাফিজ। আবার পুরো বই শেষের পর পর্যালোচনা করেন তিনি।

গ্রামের মধ্যে হামদুল্লাহ আবদুল হাফিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ সবচেয়ে সমৃদ্ধ। তার বাড়িতেই বই পড়তে আসেন সবাই। ছোট্ট গ্রামবাসীর কাছে জ্ঞানার্জনের অন্যতম মাধ্যম তিনি। তার সংগ্রহে কোরআন, হাদিস, আরবি ভাষা ও সাহিত্যসহ ইসলামের নানা শাখার গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ পাণ্ডুলিপি রয়েছে।  

স্থানীয় নারী পাঠক রাবাব হামুদা বইপ্রেমী হাফিজেরর সংগ্রহে থাকা বই নিয়মিত পড়েন।

তিনি বলেন, এখানে বইয়ে বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। আমি বৃদ্ধ হাফিজের সঙ্গে তার পড়া বই নিয়ে আলোচনা করি। অনেক সময় তার সঙ্গে তাজবিদসহ কোরআন পাঠের চর্চা করি। তাছাড়া হাদিস, ফিকাহ ও সুন্নাহ নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। ব্যক্তিগত সংগৃহের বইগুলো এলোমেলোভাবে থাকায় সবাই তা থেকে উপকৃত হতে পারেন না। তাই সব পাঠকদের জন্য সহজ করতে বইগুলো সুবিন্যস্ত করার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, সময়ের সবচেয়ে দামি বন্ধু হলো বই। যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে বই সর্বোত্তম বন্ধু। স্বাধীনভাবে বইয়ের পাতায় বিচরণে সুযোগ পান পাঠকরা। তাই স্মার্টফোনের চেয়ে বই সর্বোত্তম বন্ধু।

রাবাব আরো বলেন, মূলত আমাদের গ্রামে গ্রন্থাগার নেই। এখানে বইপ্রেমী পাঠক খুবই কম। মহান আল্লাহর কাছে কামনা, তিনি যেন আমাদের একটি স্থানে বইগুলো সংরক্ষণ ও সুবিন্যস্ত গ্রন্থাগার তৈরির ব্যবস্থা করে দেন।