যে দেশের ৫০ জনের একজন জানেন না তাদের আসল বাবা কে?
প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
যে-দেশের-৫০-জনের-একজন-জানেন-না-তাদের-আসল-বাবা-কে
১০ লাখ বৃটিশদের ভাগ্যে পিতৃ স্নেহের পরশ পাওয়া লেখা না থাকলেও সেটি সম্ভব করলেন ১৮ বছরের ক্যাটলিন ম্যাককিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বাবাকে খুঁজে পান তিনি।
জানা গেছে, ছোট থেকেই ম্যাককিনিকে বুকে আগলে রেখেছেন মা। ভরিয়ে দিয়েছেন আদরে। না চাইতেই তার হাতে এসেছে খেলনা থেকে বই-খাতা। তবুও যেন ম্যাককিনির মনের কোণে থেকে গিয়েছিল বাবার অভাব। প্রতি বছর জন্মদিনে যখন বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের সামনে কেক কেটে, ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নিভিয়েছেন, মনে মনে একটাই প্রার্থনা করেছেন ম্যাককিনি, জীবনে যেন তিনি বাবাকে খুঁজে পান। অন্তত একবার তার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় এখন আনন্দে বিভোর উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেরি’র ঐ তরুণী।
ম্যাককিনির বাবা বাশির। আদি বাড়ি মরক্কো। তবে এখন থাকেন ডোভারে। দু’বছর আগে তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিয় হয়। ধীরে ধীরে ফোনে কথোপকথন। এগোতে থাকে কথাবার্তা। এরপর তাদের আসল পরিচয় সামনে আসে। ম্যাককিনি জানতে পারেন, ঐ ব্যক্তিই তার বাবা। আর এটা জানার পরই বাচিরের সঙ্গে দেখা করতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন তিনি। শেষপর্যন্ত গত মাসে বাশিরের কর্মস্থলে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন ম্যাককিনি।
জীবনে প্রথমবার মেয়েকে সামনে দেখতে পেয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বাচির। আবার ১৮ বছর বয়সে এসে বাবাকে খুঁজে পাওয়ায় আবেগে ভেসে যান ম্যাককিনি। তার কথায়, বাবাকে কোনোদিন দেখতে পাব, এটা আমার জীবনে স্বপ্নের মতো ছিল। কিন্তু সত্যিই সেটা যে পূর্ণ হবে তা ভাবতে পারিনি।
ম্যাককিনির কথায়, বাবার খোঁজ পাওয়ার পর তাকে চমকে দিতে ঠিক করি, কিছু না বলে সোজা তার কর্মস্থলে পৌঁছে যান। গত মাসের ২৭ তারিখ বয়ফ্রেন্ড লিওনার্দো ম্যাকগ্লিনচিকে সঙ্গে নিয়ে বাবার কর্মস্থলে হাজির হন ম্যাককিনি। তখন কাফেতে দিনের কাজ শেষ করছেন বাশির।
বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে বেশ ভালোই সময় কাটছে ম্যাককিনির। তিনি জানতে পেরেছেন, তার আরো দু’টি ভাইবোন রয়েছে। এমনকি বাচিরের যিনি বর্তমান স্ত্রী, তিনি সন্তানসম্ভবা।
ম্যাককিনি জানিয়েছেন, তারা একটি পারিবারিক ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। মরক্কোয় তার বর্ধিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তাদের ঐতিহ্য, পরম্পরা নিজের চোখে দেখতে চান তিনি। তার কথায়, এতদিন সব থেকেও যেন একটা কিছুর কমতি ছিল। এতদিনে বুঝতে পারছি, পরিবারের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে।