বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অনিবন্ধিত কোনো হাসপাতালকেই ছাড় নয়: স্বাস্থ্য অধিদফতর

প্রকাশিত : ০৪:১০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

অনিবন্ধিত-কোনো-হাসপাতালকেই-ছাড়-নয়-স্বাস্থ্য-অধিদফতর

অনিবন্ধিত-কোনো-হাসপাতালকেই-ছাড়-নয়-স্বাস্থ্য-অধিদফতর

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেছেন, দেশের সব অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযান চলছে। অভিযানে কোনো অনিবন্ধিত হাসপাতালকেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, হাসপাতালের অনুমোদন নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ডে নিবন্ধন নম্বর ও মেয়াদ উল্লেখ করা থাকতে হবে। আমরা সব নিবন্ধিত ক্লিনিকগুলোকে নিবন্ধন নম্বর ও মেয়াদসহ সাইনবোর্ড লাগাতে বলেছি। এতে অনিবন্ধিত হাসপাতাল শনাক্ত করা সহজ হবে।

তিনি আরো বলেন, সেবার মান নিশ্চিতে অধিদফতর সবসময় সক্রিয়। এ লক্ষ্যে চলমান অভিযান ও হাসপাতালে নিবন্ধন নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিবন্ধন নিশ্চিতে কাজ করছি।

অভিযান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা বলেন, অনিবন্ধিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির কোনো আপত্তি নেই। এ ধরনের অভিযানে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। তবে মনে রাখতে হবে, নিবন্ধন মানেই সবকিছু নয়। আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ঠিক আছে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মীদের বেতন, রোগী-চিকিৎসক-নার্স রেশিও ঠিক থাকতে হবে। চিকিৎসার বিষয়ে যে নেতিবাচক ধারণা আছে তা দূর করতে হবে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানেই আমার-আপনার বাবা-মা, স্ত্রী সন্তানরা চিকিৎসা নেবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা অনলাইনে নিবন্ধনের ব্যবস্থা জোরদার করব। এক্ষেত্রে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করছি। লাইসেন্স রিনিউ করার ক্ষেত্রেও আমরা সহযোগিতা করব। নিবন্ধন করতে কোনো রকম বিড়ম্বনার স্বীকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।

বেসরকারি হাসপাতালের নিবন্ধনের মেয়াদ এক বছর থেকে দুই বছর করা হবে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।