বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মানুষকে ছোবল মেরে বিভৎস্যভাবে মৃত্যু হলো বিষাক্ত গোখরার

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

মানুষকে-ছোবল-মেরে-বিভৎস্যভাবে-মৃত্যু-হলো-বিষাক্ত-গোখরার

মানুষকে-ছোবল-মেরে-বিভৎস্যভাবে-মৃত্যু-হলো-বিষাক্ত-গোখরার

ক্ষেতের ভেতর দিয়ে হাঁটছিলেন সলিল নায়েক। আচমকা তার পায়ে ছোবল মারে একটি বিষাক্ত গোখরা। এ অপমান সইতে পারেননি সলিল। তাই রাগের বশে পাল্টা বিভৎস্যভাবে সাপড়ে কামড়ে মেরে ফেলেন তিনি।

মঙ্গলবার ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে দারাগা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটছে।- খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

জানা গেছে, ক্ষেতে যাওয়ার সময় সলিলের পায়ে একটি গোখরা সাপ ছোবল মেরে পালিয়ে যায়। সলিলও পিছু ধাওয়া করে গোখরাটিকে ধরেন। তারপর সেটির শরীরে একের পর এক কামড় বসিয়ে দেন। তার সেই এলোপাতাড়ি কামড়েই মৃত্যু হয় গোখরটির।

সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেলার পর সেটিকে গলায় জড়িয়ে গ্রামে হাজির হন সলিল। তার গলায় জড়ানো সাপ দেখে আতঙ্কিত হন গ্রামবাসীরা। সলিল নিজেই তাদের জানান, সাপটি তাকে ছোবল মেরেছিল। আর সেই রাগেই সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেলেছেন।

গ্রামবাসীরা সলিলের মুখে এসব কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান। তাকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন তারা। কিন্তু সলিল যেতে অস্বীকার করেন। 

পাল্টা সলিল দাবি করেন, তিনি মন্ত্র জানেন। আর সেই মন্ত্র পড়ে বিষ শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন। সলিলের এ কথা শুনে গ্রামবাসীরা জেলা বনের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনাটি জানান।

জেলা বন কর্মকর্তা আয়ুষ জৈন জৈানান, দারাদা গ্রামে এক ব্যক্তিকে গোখরা ছোবল মারার খবর পেয়ে সেখানে কর্মীদের পাঠানো হয়। সলিলকে ধরে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবারই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে সতর্ক করা হয়।

জৈন বলেন, সলিল শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিকভাবে অসুস্থ। তার পরিবারকে সলিলের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।