বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্ত্রী আনুশকার জন্যই কোহলির শতক 

প্রকাশিত : ০১:৩০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

স্ত্রী-আনুশকার-জন্যই-কোহলির-শতক 

স্ত্রী-আনুশকার-জন্যই-কোহলির-শতক 

এবারের এশিয়া কাপ যেন বিরাট কোহলির জন্য আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে এলো। অবশেষে ১০২০ দির পর কোহলির ব্যাট হাসলো। তিনি পেলে শতকের দেখা। তার সঙ্গে এশিয়া কাপও দেখলো প্রথম শতক। এর মধ্য দিয়ে টি-২০ তে কোহলি পুর্ন করলেন ৩৫০০ রান। আর এই পুরো সুখের মূহুর্তটাই তিনি উৎসর্গ করেন প্রিয়তমা স্ত্রী আনুশকাকে। 

শতক পুরণ করার পরপরই আঙ্গুলের ইশারায় তার উদযাপনটা ছিল আনুশকাকে ঘিরে। যেন প্রাণ ফিরে পাওয়া এই শতক আনুশকারই অবদান।

পাকিস্তান ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে কোহলি জানিয়েছিলেন, টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এক মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া কেউ তাকে বার্তা পাঠাননি। তার মুখে উঠে এল না কোনো সতীর্থ বা কোচের নাম। বার বার ঘুরেফিরে স্ত্রী আনুশকা শর্মা এবং মেয়ে ভামিকার নামই নিলেন তিনি।

ইনিংস শেষে এই সেঞ্চুরির প্রতিক্রিয়ায় কোহলি বললেন, ‘খুব ভাল লাগছে। আমি আপ্লুত। গত আড়াই বছর ধরে অনেক কিছু শিখেছি। নভেম্বরে আমার বয়স ৩৪ বছর ছুঁয়ে ফেলবে। এখন আর আগের মতো তেমন উদযাপন করতে পারি না। এই সেঞ্চুরির পর আমি নিজেও একটু অবাক। কারণ এই ফরম্যাটে যে আমি সেঞ্চুরি করতে পারি, সেটা কল্পনাও করিনি কখনো। এটা সম্ভব হয়েছে ঈশ্বরের আশীর্বাদেই। কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই মুহূর্ত শুধু আমার একার নয়, গোটা দলের কাছেই বিশেষ আবেগের।’

এর পরেই নিজের পরিবারকে ধন্যবাদ দিলেন কোহলি। কোহলি বললেন, ‘অনেক কিছু চলছিল। দলে ফেরার সময় প্রত্যেকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং আমি যে ভাবে খেলতে চাই, সে ভাবেই খেলতে বলেছিল। বাইরে থেকে অনেকে অনেক কথাই বলছিল। আমরা পাত্তা দিইনি। শতরানের পর লকেট আর আংটিতে চুমু খেলাম। কারণ, আমার ফিরে আসা এবং সব সময় পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান এক জন মানুষেরই রয়েছে। সে আমার স্ত্রী আনুশকা শর্মা। এই শতরান সবার আগে ওকে এবং আমাদের মেয়ে ভামিকাকে উৎসর্গ করছি।’

এর আগে কোহলির অপরাজিত ৬২ বলে ১২২ রানের সুবাদে ভারত বিদায় বেলা ২১২ রানের পাহাড়সম রান সংগ্রহ করে। এর ফলে আফগানিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ১১৩ রানের। 

টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পর অবশেষে আজকের ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেন কোহলি। এ নিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার ৫০ প্লাস স্কোর বেরিয়ে এলো কোহলির ব্যাট থেকে।

হংকংয়ের বিপক্ষে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেন ৬০ রান। আজ করলেন সেঞ্চুরি।

উদ্বোধনী জুটিতে ১১৯ রান তুলেছেন কোহলি এবং লোকেশ রাহুল। ৪১ বলে ৬২ রান করে লোকেশ রাহুল আউট হয়ে যান। ৬টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব মাঠে নেমে একটিমাত্র ছক্কা মেরেই বোল্ড হয়ে যান ফরিদ আহমেদের বলে।

এরপর আর কোনো উইকেট পড়লো না। রিশাভ পান্তকে নিয়ে ৮৭ রানের জুটি গড়েন কোহলি। এর মধ্যে ২০ রান কেবল পান্তের। বাকিগুলো সব কোহলির। 

৬১ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাভ পান্ত।

এশিয়া কাপে সুপার ফোরের পঞ্চম ম্যাচে আজ মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত-আফগানিস্তান। 

বৃহস্পতিবার নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে শতকের মাধ্যমে রাঙিয়ে রাখলেন কোহলি। আর দলের জয় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই। যদিও জয়-পরাজয়ে কোনো দলের কিছুই আসবে যাবে না।