ইউক্রেনে আকস্মিক সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ইউক্রেনে-আকস্মিক-সফরে-মার্কিন-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক আকস্মিক সফরে রাজধানী কিয়েভ পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এ কূটনীতিক।
এদিকে ইউক্রেন ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের জন্য আরো প্রায় ২০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার।
এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অঘোষিত সফরে কিয়েভ পৌঁছার পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ইউক্রেন ও এর প্রতিবেশী ১৮টি দেশের জন্য সামরিক সহায়তার কথা জানান তিনি।
এ ছাড়া শুধু ইউক্রেনের জন্য আরো ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক যান সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) জার্মানি সফরে গিয়ে এ সহায়তার কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
আরো পড়ুন>> ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যাকারী সেনাসদস্যের বিচার করবে না ইসরায়েল
এ সময় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধের ময়দানে ‘উল্লেখযোগ্য সাফল্য’ অর্জন করেছে। অস্টিন বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ এখন আরেক গুরুত্বপূর্ণ পর্বে এসে পৌঁছেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী দেশের দক্ষিণে পাল্টা অভিযান শুরু করেছে।’
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, রাশিয়ার দখলে থাকা বেশ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে পুনরুদ্ধারের দাবি করা ওই সব এলাকার নাম বলতে অস্বীকার করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘নাম বলার সময় এখনও আসেনি।’ এ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারাও কথা বলেন। তারা বলেন, ‘রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের অগ্রগতি ধীরগতি কিন্তু অর্থবহ।’
এদিন রাতের ভাষণে জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটি নাগরিক আমাদের সেনাদের জন্য গর্ববোধ করেন।’ ইউক্রেনের সামরিক ইউনিট এবং যুদ্ধের ময়দানে থাকা সেনাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট।
আরো পড়ুন>> ফেসবুক লাইভে ৪ জনকে গুলি করে হত্যা!
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে নেমেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। বিশেষ করে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে ব্যাপক লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে উভয় পক্ষের।
খারকিভের দক্ষিণ-পূর্বে আক্রমণ জোরালো করেছে ইউক্রেন। অথচ যুদ্ধের শুরুর দিকে ওই অঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে সামরিক শক্তিপ্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণে নেয় মস্কো। পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো থেকে সামরিক সহায়তা পাওয়ায় পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। ফলে যুদ্ধের ময়দানে অনেকটা বিপর্যস্ত রুশ বাহিনী।