বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিউজিল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

নিউজিল্যান্ডকে-২-০-ব্যবধানে-হারিয়ে-সিরিজ-অস্ট্রেলিয়ার

নিউজিল্যান্ডকে-২-০-ব্যবধানে-হারিয়ে-সিরিজ-অস্ট্রেলিয়ার

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ৩ ম্যাচ সিরিজে কিউইদের ১১৩ রানে হারিয়ে নিজেদের সিরিজ নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। যদিও শুরুতে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল তারা বেশিদুর এগুতে পারবে না।  

বৃহস্পতিবার কেয়ার্নসে শুরু থেকেই অজিরা ছিল বিপাকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হারায় অ্যারন ফিঞ্চকে। 

এক ওভার পর ডেভিড ওয়ার্নারও তার পথ ধরেন। পাওয়ারপ্লে শেষের আগে মার্নাস লাবুশেন ও মার্কাস স্টয়নিসকেও হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। তখনই অজিরা ছিল ব্যাকফুটে, যে কারণে রানের গতিটাও বাড়ানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। 

পঞ্চম উইকেট জুটিতে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে অ্যালেক্স ক্যারির একটা জুটি হলো, কিন্তু ২৮ রানের সে জুটি গড়তে দলটা খুইয়ে বসে ৬০ বল।

ক্যারির বিদায়ের পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৪৯ রানের আরও এক জুটি গড়েন স্মিথ। তবে দলীয় ১০৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন তিনি। 

এরপর ১৪ রান তুলতে যখন দলটি খুইয়ে ফেলল আরও দুই উইকেট, তখন ১৫০ রানকেও দূর আকাশের তারাই মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ১৯৫ রান তুলতে পেরেছে মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জ্যাম্পা আর জশ হেইজেলউডের কল্যাণে। 

স্টার্ক প্রথমে জুটি গড়েন জ্যাম্পার সঙ্গে, ১৮ রান করে জ্যাম্পার বিদায়ের পর তার সঙ্গী হন হেইজেলউড। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটিতেই অজিরা লড়াইয়ের মতো পুঁজি পায় এই ম্যাচে।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের মতো নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শুরুটাও হয়েছিল তথৈবচ। মার্টিন গাপটিলকে হারায় ২ রানেই। এরপর ১৪ রানে ডেভন কনওয়ে আর টম ল্যাথামকে খুইয়ে বসে সফরকারীরা। দলীয় ৩৩ রানে কেন উইলিয়ামসন বিদায় নেন চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে।

নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রানই করতে পারেননি। সফরকারীরা উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যর্থতার পেছনে অজি লেগ স্পিনার জ্যাম্পার হাত আছে বৈকি! স্টার্ক-অ্যাবটের গড়ে দেওয়া মঞ্চে ছড়ি ঘুরিয়েছেন জ্যাম্পা। ৩৫ রান খরচায় শিকার করেছেন পাঁচ উইকেট। 

মূলত তার তোপে পড়েই নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ৮২ রানে। 

১১৩ রানের বিশাল এই জয় নিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।