রিচার্লিসনের জোড়া গোলে জিতল টটেনহ্যাম
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
রিচার্লিসনের-জোড়া-গোলে-জিতল-টটেনহ্যাম
এভারটন থেকে ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে উত্তর লন্ডনের দলটিতে আসার পর পাঁচ ম্যাচ খেলেও কোন গোলের দেখা পাননি রিচার্লিসন। কিন্তু ইউরোপীয়ান আসরে জোড়া গোল করে কোচ আন্তোনিও কন্তের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর পাশাপাশি একটি বিষয় এই ব্রাজিলিয়ান নিশ্চিত করেছেন, তাকে দলে নিয়ে কোন ভুল করেনি স্পার্সরা।
কাল ঘরের মাঠে বেশ লম্বা সময় ধরে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি টটেনহ্যাম। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সন হিয়ুং-মিনকে ফাউলের অপরাধে সরাসরি লাল কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান মার্সেইর ডিফেন্ডার চানসেল এমবেম্বা। আর তখন থেকেই মূলত ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন হতে থাকে।
এই সুযোগে ৭৬ মিনিটে ২৫ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত এক শটে রিচার্লিসন স্পার্সদের এগিয়ে দেন। পাঁচ মিনিট পর তিনি ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে নেমেছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকার।
আর প্রথম ম্যাচেই রিচার্লিসন প্রমাণ করেছেন গ্রীষ্মকালীন দলবদলে কেন তাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে দলভূক্ত করেছেন কন্তে। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে নিজের এই গোলগুলোর আনন্দ স্ট্যান্ডে উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রিচার্লিসন।
ম্যাচ শেষে স্পার্স বস কন্তে বলেছেন, ‘রিচার্লিসন যখন আমাদের সঙ্গে চুক্তি করলো সেই মুহূর্তটির কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সে বলেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার অপেক্ষা আর শেষ হচ্ছে না। আমি তার সেই আকাঙ্খার সুর শুনতে পেয়েছিলাম। একজন খেলোয়াড় যখন এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে তখনই বোঝা যায় একটি আসরে খেলার জন্য সে কতটা উদগ্রীব হয়ে আছে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ডি-তে টটেনহ্যামের অপর দুই প্রতিপক্ষ হচ্ছে আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্ট ও স্পোর্টিং লিসবন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এবারের মৌসুমে এখনো টানা সাত ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে টটেনহ্যাম।
দলের এই পারফরমেন্সে স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করে স্পার্স বস বলেন, ‘আজ ম্যাচের আগে আমরা সবাই টিম মিটিংয়ে একটি বিষয়ই আলোচনা করেছি গত মৌসুমে আমরা কি করেছি তা সবাই জানে। সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে এবার আমরা ফিরে এসেছি। আমার কাছে মনে হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মত আসরে খেলতে আসলে কিছুটা হলেও আমরা চাপ অনুভব করি। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই জয়ী হওয়ায় আমরা সবাই দারুণ আনন্দিত।’
ক্লাবের সাবেক তারকা গ্যারেথ বেল, জিমি গ্রিভস, মার্টিন শিভার্স ও টনি পার্কসদের মত খেলোয়াড়দের কারণে ইউরোপীয়ান আসরগুলো সবসময়ই স্পার্স সমর্থকদের মনে একটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। মরিসিও পচেত্তিনোর অধীনে ২০১৯ সালে রানার্স-আপ হবার পর দুই আসরে অনুপস্থিত থেকে আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরেছে স্পার্সরা।
মার্সেইতে প্রিমিয়ার লিগের পাঁচজন সাবেক খেলোয়াড় থাকায় ম্যাচটিতে ইংলিশ ফুটবলের আবহ তৈরী হয়েছিল। টটেনহ্যামের চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের সাবেক দুই খেলোয়াড় মাত্তেও গুয়েনডুজি ও নুনো তাভারেজ যখনই বল পেয়েছেন স্পার্স সমর্থকরা তখনই চিৎকার করে উঠেছে।