যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয়ের পরই সব শেষ! অনুদানের টাকায় চলে অভিনেত্রীর জীবন
প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
যৌনকর্মীর-চরিত্রে-অভিনয়ের-পরই-সব-শেষ-অনুদানের-টাকায়-চলে-অভিনেত্রীর-জীবন
১৯৭০ সলে দস্তক ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসাবে ঝুলিতে এসেছিল জাতীয় পুরস্কার। ১৯৭০ সালে চেতনা ছবিতে অভিনয়ের পরই ধস নামে রেহেনা সুলতানের ফিল্মি ক্যারিয়ারে। এই ছবিতে যৌন কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রেহেনাকে। অত্যাধিক বোল্ড চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরবর্তীকালে অন্যান্য ছবিতে কাজ পেতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পাঁচের দশকের এই অভিনেত্রীকে। দীর্ঘ সময় আর্থিক সংকটে কেটেছে তার।
চেতনা ছবির বোল্ড দৃশ্যে অভিনয়ের পর তাকে নিয়ে চর্চা হয়ে উঠেছিল। এই ছবিতে অভিনয়ের পর পরিচালক-প্রযোজকদের চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছিলেন রেহানা। পাঁচ বছর আগেও চরম অর্থ সংকটে ভুগেছেন পাঁচের দশকের অভিনেত্রী। অনুদানের টাকায় কোনো রকমে দিন কাটে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রীর।
একজন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেন যৌন কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবে এই বিষয়ে সেসময় আলোচনা ছিলো একদম তুঙ্গে।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী রেহানা সুলতানা তার জীবনের অর্থ কষ্টের কথা শেয়ার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তার কাছে থাকার মতো একটা বাড়ি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। রেহেনার স্বামী যে তার জন্য কিছু রেখেও যাননি সেই কথাও বলেছিলেন সেই সাক্ষাৎকারে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট একেবারে ‘জিরো’।
উল্লেখ্য, ১৬ বছরের বড় চেতনা ছবির পরিচালকের সঙ্গেই শেষ পর্যন্ত বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রেহেনা। এরপর অভিনয় থেকে অবসর নেন অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে, এখনো চরম দারিদ্রের মধ্যেই দিন কাটছে অভিনেত্রীর। এখনো টেলিভিশন বা বড়পর্দায় কাজের জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকরে রেহেনা সুলতান জানিয়েছিলেন, তিনি যদি টেলিভিশনের জন্য কোনো চরিত্র পান তাহলে সেখানে কাজ করতেও রাজি।