সানের গোলে বায়ার্নের আরেকটি জয়
প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
সানের-গোলে-বায়ার্নের-আরেকটি-জয়
সান সিরোতে প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে সানের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার ডিফেন্ডার দানিল ডি’আম্ব্রোসিওর গোলে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হয়।
গত সপ্তাহে বুন্দেসলিগায় ইউনিয়ন বার্লিনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর পুরো দল নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন বায়ার্ন কোচ জুলিয়ান নাগলসম্যান। কালকের জয়ের পর নাগলসম্যান বলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত আকাঙ্খা দেখিয়েছে বায়ার্ন।
ম্যাচ শেষে নাগলসম্যান আরো বলেন, ‘আজ পুরো দল দারুন ছন্দে ছিল। প্রত্যেকের মধ্যেই জয়ের আকাঙ্খা দেখা গেছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা কম গোল করলেও এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা বেশ পরিনত পারফরম্যান্স দেখিয়েছি। কিন্তু পুরো ম্যাচেই আমাদের পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।’
মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ২০১০ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্নকে ২-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল ইন্টার। সেই ম্যাচের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে বর্তমান বায়ার্ন দলে টিকে আছেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার থমাস মুলার।
কাল ম্যাচের শুরুতেই মুলারের একটি শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ২৫ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন সানে। জসুয়া কিমিচের লম্বা পাস থেকে দারুনভাবে বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ওনানাকে পরাস্ত করেন এই জার্মান অ্যাটাকার।
ম্যাচ শেষে সানে বলেন, ‘আমি জায়গা দেখতে পেয়েছিলাম এবং সেটাই কাজে লাগিয়েছি। কিমিচও আমাকে ভালভাবে দেখতে পেয়েছিল। তার বাড়ানো পাসটি ছিল দুর্দান্ত। মূলত আমি একটি ভাল ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। আজ সেই ধরনের সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
সানের গোল প্রসঙ্গে ইন্টারের জার্মান উইং-ব্যাক রবিন গোসেন্স বলেছেন, ‘আমরা লম্বা পাসটিকে সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। অথচ ম্যাচের শুরুতেই এই বিষয়টি নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।’
দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ ফিরে পেয়ে ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইন্টার। ডি’এম্ব্রোসিও ম্যাচে প্রায় সমতা ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু এই ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের শটটি ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করলেও ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।
বায়ার্নও ছেড়ে কথা বলেনি। সানের সঙ্গে ফরাসি ফরোয়ার্ড কিংসলে কোম্যান বারবার ইন্টারের ডি বক্সে হানা দিয়েছেন। সানে একটি পাস সাদিও মানের দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মানের নেয়া শটটি লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে ৬৬ মিনিটে নিজেদের জালেই বল জড়ান ডি’এম্ব্রোসিও।
ম্যাচের শেষ ভাগে ইন্টার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। আর্জেন্টাইন বদলী ফরোয়ার্ড জোয়াকুইন কোরেয়া বায়ার্নের সেন্টার-ব্যাক লুকাস হার্নান্দেজের থেকে ব্যাক পাসে বল পেয়ে শট নিলেও তা অল্পের জন্য পোস্টের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
ম্যাচ শেষে ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে বলেছেন, ‘দারুণ ছন্দে থাকা অতি অসাধারণ একটি দলের বিপক্ষে আজ আমরা খেলতে নেমেছিলাম। এই মুহূর্তে ইউরোপে বায়ার্নই অন্যতম সেরা দল। ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু এই পর্যায়ের একটি দলের বিপক্ষে নিজেদের সুযোগগুলোর শতভাগ কাজে লাগাতে না পারলেও এগিয়ে যাওয়া কঠিন। আজ আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’
এবারের গ্রীষ্মে সিরি আ জায়ান্ট জুভেন্টাস থেকে বায়ার্নে আসা ডাচ ডিফেন্ডার মাথিস ডি লিট স্বীকার করেছেন জার্মানীতে অনুশীলন অনেক বেশী তীব্রতর হয়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে অনুশীলন অনেক বেশী কঠিন হয়ে থাকে। কিন্তু ইতালিতে কৌশল ও পদ্ধতির উপর বেশী জোড় দেয়া হয়।’
আগামী মঙ্গলবার গ্রুপ-সি’র পরবর্তী ম্যাচে মিউনিখের আলিয়াঁজ এরিনাতে বার্সেলোনাকে আতিথ্য দিবে স্বাগতিক বায়ার্ন। কার্যত এই ম্যাচের মাধ্যমে দলের সাবেক তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বাভারিয়ান্সরা।
এবারের মৌসুমে সব মিলিয়ে আট ম্যাচে বায়ার্ন ২৯ গোল করেছে, বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ৬ গোল।