সার নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কৃষি সচিবের
প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
সার-নিয়ে-বিভ্রান্ত-না-হওয়ার-আহ্বান-কৃষি-সচিবের
বুধবার সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার ও সেচ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়াসহ বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, সব জেলা প্রশাসক, সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
জেলা প্রশাসকরা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকরা সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে জানান, মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোনো সংকট নেই। তবে সারের দাম বাড়বে বলে গুজব ও কোন কোন জায়গায় বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সারের বিষয়ে প্রায়শই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যেও সার মজুতের প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
সভায় সারের কারসাজি রোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কতিপয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো- রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখা নিশ্চিত করা। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা। কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ দিয়ে সার কিনতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডিলারের গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে ও ট্রাক চালানের সঙ্গে তা যাচাই করে দেখতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সার বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে বিসিআইসি থেকে সার উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সভায় জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (৭ সেপ্টেম্বর) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৪ লাখ ১৫ হাজার টন, ডিএপি ৯ লাখ ০৪ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৪৬ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৯৬ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ১৯ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ২১ হাজার টন।