ইউরোপের গ্যাস সংকটের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র: রাশিয়া
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
ইউরোপের-গ্যাস-সংকটের-জন্য-দায়ী-যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেনে অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমাদেশগুলো। এরপরই রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমালে ইউরোপে জ্বালানির দাম বেড়েছে। এরইমধ্যে মেরামত কাজের কথা বলে ৩১ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস প্রবাহ স্থগিত রাখার কথা জানায় রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। তবে সেই সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় সরবরাহ শুরু করতে মস্কোর কালক্ষেপণের ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়।
গ্যাজপ্রমের দাবি, গ্যাস পাইপলাইন নর্ডস্ট্রিম-১ এ নতুন একটি লিকেজ দেখা দেওয়ায় সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কবে পুনরায় লাইনটি চালু হবে তা বলা হয়নি।
পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, পাইপলাইন মেরামতের কথা বলে জ্বালানি সংকট নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। একইসঙ্গে আসন্ন শীতে ইউরোপের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে অঞ্চলটির সঙ্গে সহযোগিতার কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা রয়টার্সকে বলেন, আপনি আমাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন যার উত্তর এমনকি শিশুরাও জানে। যারা এটি শুরু করেছে তাদেরই এটি শেষ করতে হবে।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে রাশিয়া ও জার্মানির মতো প্রধান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র । অথচ সোভিয়েত আমল থেকেই মস্কো জ্বালানির জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, মস্কোকে আর তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে দেখছে না বার্লিন। এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে গ্যাস রফতানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মস্কোর সমালোচনা করার অধিকার বার্লিনের নেই। জার্মানি শত্রুর মতো আচরণ করছে।
টেলিগ্রামের পোস্টে তিনি জানান, রাশিয়া ও দেশটির জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বার্লিন। শুধু তাই নয়, আমাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনে প্রাণঘাতী অস্ত্র পাঠাচ্ছে তারা। তাদের এমন আচরণ হাইব্রিড যুদ্ধের চেয়ে কম নয়।
সূত্র-রয়টার্স