খোলা আকাশের নিচে পাকিস্তানের বানভাসিরা, ক্ষুধা-অসুখে হাহাকার
প্রকাশিত : ১০:৫০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
খোলা-আকাশের-নিচে-পাকিস্তানের-বানভাসিরা-ক্ষুধা-অসুখে-হাহাকার
পাকিস্তানের স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের করাচি শাখার সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল গাফুর শোরো বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে আশ্রয়ের অভাব। আজ আমরা মিরপুরখান, তান্দো মুহাম্মদখান ও তান্দো আদম এলাকায় গিয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও সরকার পরিচালিত কোনো ত্রাণ শিবির দেখতে পাইনি।
সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকার জনগণ খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে, খাচ্ছে দূষিত পানি। আর খাদ্যের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে স্থানীয় জমিদার ও ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দয়ার ওপর। এখন পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ সেখানে পৌঁছায়নি।
আবদুল গফুর শোরো আরো বলেন, পানি দূষিত হওয়ায় বন্যা কবলিত অধিকাংশ এলাকার চর্মরোগ ও ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক জায়গায় বন্যার জমে থাকা পানি এখন মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু খোলা আকাশের নিচে থাকা বানভাসিদের না আছে আশ্রয়, না আছে মশারি।
বন্যার্তদের আশ্রয়-খাদ্য ও সুপেয় পানির সমস্যা মেটাতে সরকারিভাবে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরোবিপর্যয়কর হয়ে উঠবে।
প্রতিবছরের জুন মাস থেকে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুরু হয়। এবার বর্ষাকালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে খরা ও বাংলাদেশে কম বৃষ্টিপাত হলেও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত জুলাইয়ে বেলুচিস্তান ও খাইবার-পাখতুনওয়া প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছিল। তার মধ্যেই গত সপ্তাহের শেষ দিকে শুরু হওয়া টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পাকিস্তানের তিন প্রদেশ সিন্ধ, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনওয়ার বিপুল এলাকায় নজিরবিহীন বন্যা দেখা শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ডনকে জানান, বেলুচিস্তান, সিন্ধ ও খাইবার পাখতুনওয়া- তিন প্রদেশের বন্যা উপদ্রুতদের জন্য পরিচালিত সরকারি বিভিন্ন চিকিৎসা শিবিরে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসছেন।
সিন্ধ প্রাদেশিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজরা পেচুহো ডনকে বলেন, বন্যার কারণে সিন্ধুতে প্রতিদিনি লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের শিকার হচ্ছেন।