যে কারণে মেরিলিন মনরোর বায়োপিক অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নিষিদ্ধ
প্রকাশিত : ১০:২০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
যে-কারণে-মেরিলিন-মনরোর-বায়োপিক-অপ্রাপ্তবয়স্কদের-জন্য-নিষিদ্ধ
জয়েস ক্যারল ওটসের বই ‘বন্ড’র ওপর নির্মিত ও অ্যানা ডি আরমাস অভিনীত ছবিটি হলিউডের বিখ্যাত মেরিলিন মনরোর জীবনী দেখাবে। সিনেমায় একটি ধর্ষণের গ্রাফিক্যাল দৃশ্য ও একটি যোনি পয়েন্ট-অব-ভিউ শট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নেটফ্লিক্স একটি স্ট্রিমিং পরিষেবা, যা অপ্রাপ্তবয়স্ক দর্শকদের জন্য স্ক্রিনিংয়ে টহল দেওয়ার জন্য কোনো কর্মচারী নেই এবং কোনো সেনসিটিভ কনটেন্টে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল করার দায়িত্ব গ্রাহকের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে। নেটফ্লিক্স প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাক্সেস দেয়, যাতে করে অভিভাবক নিজে সন্তানের ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে পারে।
এছাড়া অ্যাডাল্ট যেকোনো কন্টেন্ট নেটফ্লিক্স ‘টিভি-এমএ’ রেটিং করে থাকে। যার অর্থ ১৭ বছর বা তার কম বয়সীদের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। তাহলে কেন নেটফ্লিক্স ‘ব্লন্ড’র ক্ষেত্রে এই রেটিংয়ের বদলে সোজাসোজি অপেক্ষাকৃত বিতর্কিত রেটিং ‘এনসি-সেভেনটিন’ ব্যবহার করল? নেটফ্লিক্স সম্ভবত ছবিটিকে অস্কার প্রতিযোগী হিসাবে দেখছে।
২০১৯ সালে স্ট্রিমিং সেবা হিসেবে প্রথমবারের মতো নেটফ্লিক্স মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশনে যোগদান করে। তাই যদি এটি তার চলচ্চিত্রগুলিকে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে নেটফ্লিক্সকে অবশ্যই একটি রেটিংসহ তা করতে হবে। ঠিক যেমন অন্যান্য সদস্য সংস্থা ডিজনি, প্যারামাউন্ট, সনি, ইউনিভার্সাল এবং ওয়ার্নার ব্রোস করে। তবে অনেকেই ভাবছে, অস্কার ছাড়াও একটি কারণে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমাকে এই রেটিং দিয়েছে। তা হলো বিতর্ক। বিতর্কই হতে পারে সিনেমা প্রমোশনের একটি অন্যতম পন্থা। ২৮ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার করা হবে ‘ব্লন্ড’।