বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিপর্যয় ঠেকাতে লড়াই করছে পাকিস্তান

প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

বিপর্যয়-ঠেকাতে-লড়াই-করছে-পাকিস্তান

বিপর্যয়-ঠেকাতে-লড়াই-করছে-পাকিস্তান

অনেক প্রচেষ্টার পরও পানির স্তর কমাতে ব্যর্থ হওয়ায় সবচেয়ে বড় হৃদের পাড় রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সিন্ধু প্রদেশের মানচার নামক হৃদটি রেকর্ড পরিমাণ ভারী বর্ষণে পূর্ণ হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হৃদের (লেক) তিন পাড় ভাঙা হয়েছে। এর মধ্যে নিকটবর্তী এলাকা রক্ষা করতে দুটি পাড় ভাঙা হয়েছিল। এরইমধ্যে এক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তবুও হৃদটিতে পানি উপচে পড়ছে। যারা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন তাদের নিরাপদ স্থানে নিতে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।

পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৩৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জুন থেকে শুরু হওয়া এ বন্যায় এক হাজার ৩১৩ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৪৫৮ জন শিশু রয়েছে। পাকিস্তানের স্মরণকালের বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ বিলিয়ম মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। 

সিন্ধু প্রদেশে পাকিস্তানের অর্ধেক খাবার উৎপাদন হতো। বন্যার কারণে মারাত্মক খাবার সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে দেশটি। 

দুটি গ্রামের শহর ডুবে যাওয়ার পর গত রোববার মানাচার হৃদের পাড় কেটে দেয় কর্তৃপক্ষ। হৃদের পাড় ভেঙে আশপাশের বেশি জনবহুল এলাকায় প্লাবন রোধের আশায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

এ পদক্ষেপের কারণে ৪০০ গ্রামের এক লাখ ৩৫ লোক বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিক এ পদক্ষেপের কারণে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। হৃদটি দুদু ও জামশর জেলাজুড়ে রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। সেখানকার ৮০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

তবে, এখন হৃদের পাশের বাসিন্দারা সরকারি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে পাড়কে শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে, নতুন বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হয়।

সিন্ধু প্রদেশের সেচ মন্ত্রী জাম খান শরো বলেন, হৃদের পাড়ের মধ্যে তিন ভাঙন করা হয়েছে। দুটি পরিকল্পিত। অন্যটি অপরিকল্পিতভাবে ভাঙা হয়েছে। আমরা আমাদের বড় নগর ও শহরগুলো বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি।

পরিকল্পিত বাধ ভাঙার সময় লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্র বলছে, সবাইকে নিরাপদে নেয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে নিজেদের বাড়ি ও পশু রেখে নিরাপদে যেতে চাননি।

সূত্র-বিবিসি