দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর বয়ে গেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘হিন্নাম্নর’
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
দক্ষিণ-কোরিয়ার-ওপর-বয়ে-গেছে-শক্তিশালী-ঘূর্ণিঝড়-হিন্নাম্নর
কোরিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০মিনিটে উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব শহরের উলশাসর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি চলে যায়। পরে সেটি জিওজি শহরের উপকূলে সেটি নামে।
বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পূর্বদিকে ঘণ্টায় প্রায় ৬২ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিল। আশা করা হচ্ছে যে, রাত ৯টায় জাপানের সাপ্পোরোর ৪২০ কিলোমিটার পশ্চিমে সেটি অতিক্রম করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সংকেত তুলে নেয়া হয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের উলশা, উত্তরের জিওংসাং প্রদেশ ও পূর্বাঞ্চলের গাংউন প্রদেশ সতর্কতার আওতায় রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইয়ন সুক ইয়েলের মুখপাত্র জানান, ঘূর্ণিঝড় চলে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় যাওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ২৭০ কিলোমিটার দূরে পোহাঙ নামক স্থানে ৭০ বছরের এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি পানির ঢেউয়ে ভেসে যান।
পোহাঙে প্রাইভেটকার সরানোর জন্য একটি আন্ডারগ্রাউন্ডে ঢোকার পর থেকে আটজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। এসময় অন্য একজন লোককে স্রোত ভাসিয়ে নিয়েছে।
এদিকে, সিউলের দক্ষিণের দিকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে জিয়েনজো নামক স্থানে ৮০ বছরের এক নারীর মরদেহ মিলেছে। এছাড়া উলশানে ২৫ বছরের একজন নিখোঁজ রয়েছেন। আবার সিহোং নামক স্থানে সাইনবোর্ড পড়ে একজন আহত হয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের পানিতে সারাদেশে আটটি বাণিজ্যিক ভবন ও ৭১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর আটটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এতে ২০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। এক হাজার ৩২০ হেক্টর জমি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬৬ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। এছাড়া দুই হাজার ৯০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এরই মধ্যে উদ্ধার তৎপরতার লক্ষ্যে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অনেক ব্যবসা ও স্কুল বন্ধ রয়েছে।
সূত্র-স্ট্রেইটস টাইমস