আগে জানলে মাঠ থেকে বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারি: জালাল
প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
আগে-জানলে-মাঠ-থেকে-বিদায়ের-ব্যবস্থা-করতে-পারি-জালাল
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিদায়টা খুব একটা সম্মানজনক হয় না। চর্চাটা নেই বললেই চলে। দেশের শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিদায় তাই সবাইকে ভাবায়।
সদ্য বিদায় ঘোষণা দেয়া মুশফিকই এর প্রমাণ। রোববার সকালে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণা দেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অথচ এই অবসরগুলো আরো সুন্দর ভাবে মাঠেই নেয়া যেত।
অভিষেকের পর দীর্ঘ ১৬ বছরে ১০২টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন তিনি। এ ফরম্যাটে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি স্মরণীয় জয়ে দারুণ ভূমিকা রয়েছে এই তারকার।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজে ফর্মের পাশাপাশি অনুশীলনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গাত্মক ক্যাপশনসহ পোস্ট করা কিংবা দর্শকদের আয়না দেখতে বলে একহাত নেয়া, নানা কারণেই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের আলোচনায় ছিলেন মুশি। এশিয়া কাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন এই ক্রিকেটার।
তবে তার এমন আকস্মিক অবসরের ঘোষণায় হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, টাইগারদের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় ছিলেন এই তারকা। পাশাপাশি দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকাকে মাঠ থেকে বিদায় দিতে না পারার হতাশার কথাও জানান তিনি।
এর আগে দেশের আরও দুই সেরা তারকার বেলাতেও ঘটেছিল একই ঘটনা। টি-২০ থেকে তামিমের অবসরের আনুষ্ঠানিকতাও বিসিবি মাঠ থেকে করতে পারেনি। আর মাশরাফী খেলার বাইরে থাকলেও টি-২০ ছাড়া অন্য দুই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণাই দেননি।
শুধু এই দুই তারকাই নন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হুট করে ঘোষণা দেন অবসরের।
আবার বিপরীত ঘটনাও আছে। বোর্ডের ওপর অভিমান করে আজ পর্যন্ত ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নেননি জাতীয় দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ও টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘এই ধরনের অবসর না হলে ভালো। প্রতিটি দেশে দেখবেন -অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে যখন কোন প্লেয়ার অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়, আস্তে আস্তে ক্যারিয়ারের শেষের দিকে চলে আসে। তারা কিন্তু ছয় মাস বা এক বছর আগে বলে দেয়, অমুক সিরিজে শেষ ম্যাচ হবে আমার। আমি তারপর অবসরে যাব।’
বিসিবির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হুট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেয়ায় কোনো ধরনের আয়োজন ছাড়াই তারকাদের বিদায় বলতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এটা মাঠ থেকে হয় না, কারণ তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দিয়েদেয়, এতে জিনিসটা বেশ অগোছালো থাকে। তাদের সঙ্গে ভালোভাবে কমিউনিকেশনটাও হয় না তখন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি আগে থেকেই জেনে থাকি, তাহলে যোগাযোগ করলে আমরা ওইভাবে ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু সেই কাজগুলো আসলে হচ্ছে না।'