শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চার মার্কিন প্রেসিডেন্টের শয্যাসঙ্গী হয়েছিলেন যে নারী

প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

চার-মার্কিন-প্রেসিডেন্টের-শয্যাসঙ্গী-হয়েছিলেন-যে-নারী

চার-মার্কিন-প্রেসিডেন্টের-শয্যাসঙ্গী-হয়েছিলেন-যে-নারী

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় যৌনপেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিয়াট্রিস থমসন। এখন তার বয়স ৭৬। সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন তিনি। যৌনপেশার জগতে বিয়াট্রিস থ্রি ডলার থমসন নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুব অল্প বয়সেই যৌনপেশায় যুক্ত হয়েছিলেন বিয়াট্রিস। শুরুতে তিন ডলারের বিনিময়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতেন। আর সেই থেকেই নেভাডায় তার পেশার জগতে ‘থ্রি ডলার’ নামেই পরিচিত।

এক সাক্ষাৎকারে বিয়াট্রিস জানিয়েছিলেন, যত দিন তিনি এই পেশায় থাকবেন, সেই সময়ের মধ্যে কয়েক লাখ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে যাওয়াই হবে তার লক্ষ্য। ৫৪ বছর ধরে পাঁচ লাখ গ্রাহককে পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন বিয়াট্রিস।

এক সাক্ষাৎকারে বিয়াট্রিস বলেন, “যখন খুব অল্প বয়স ছিল, দিনে ৫০-১০০ জন গ্রাহককে পরিষেবা দিতাম। স্থির করেছিলাম যে, অবসরের আগে এই সংখ্যাটা পাঁচ লাখে নিয়ে যাব।’

আরো পড়ুন>> মাত্র দেড় লাখ লোকের ভোটে নির্বাচিত হবেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী

বিয়াট্রিস জানিয়েছেন, তিনি যে পাঁচ লক্ষ গ্রাহকের পরিষেবার দাবি করছেন, তার সপক্ষে প্রমাণও আছে। কোন গ্রাহক কোন সময়ে এসেছিলেন, কত টাকা দিয়েছেন, সব নথিভুক্ত করে রেখেছেন তিনি। এমনকি ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাহকের তার পরিষেবা সম্পর্কে কী মতামত দিয়েছেন, সেই নথিও আছে বিয়াট্রিসের কাছে।

বিয়াট্রিসের দাবি, যে পাঁচ লাখ গ্রাহককে তিনি পরিষেবা গিয়েছেন গত ৫৪ বছর ধরে, সেই ‘সন্তুষ্ট গ্রাহক’দের তালিকায় ছিলেন আমেরিকার চার প্রেসিডেন্টও।

অবসরের আগে বিয়াট্রিসের শেষ গ্রাহক ছিলেন বছর চৌত্রিশের এক জার্মান নাগরিক। শুধু মাত্র বিয়াট্রিসের টানে প্রায় ৮ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন হামবুর্গের ওই বাসিন্দা।

আরো পড়ুন>> বালিশ-কম্বল-চাদর পাবেন ১০৮ ট্রেনের যাত্রীরা

১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল- এই ২৩ বছরে মোট ১৭ বার বছরের সেরা যৌনকর্মীর সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বিয়াট্রিসকে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছিল নেভাডা যৌনকর্মী সংগঠন।

বিয়াট্রিস আরও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘৬৪ বছরের আগেই আমি এই পেশা থেকে অবসর নিতে পারতাম। কিন্তু কাজকে ভালবেসেছি। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর তাগিদেই আরও কয়েক বছর পরিষেবা দিতে রাজি হয়েছিলাম।’