লন্ডন থেকে গায়েব ব্যয়বহুল গাড়ি, হদিস মিলল করাচিতে
প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
লন্ডন-থেকে-গায়েব-ব্যয়বহুল-গাড়ি-হদিস-মিলল-করাচিতে
শনিবার করাচি শহরের ডিএইচএ এলাকার একটি বাড়িতে পার্ক করা অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।- খবর দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডন থেকে চুরি হওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল গাড়ি বেন্টলি মুলসান উদ্ধার করেছে করাচি কর্তৃপক্ষ। চুরি হয়ে যাওয়ার পর ব্যয়বহুল এ গাড়িটি লন্ডন থেকে পাকিস্তানের বন্দর শহরে পাঠানো হয়েছিল।
করাচির কালেক্টরেট অব কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (সিসিই) নিশ্চিত করেছে যে, চুরি হওয়া বেন্টলি মুলসান গাড়িটি করাচির ডিএইচএ এলাকার একটি বাড়িতে পার্ক করা রয়েছে বলে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে জানায় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই সেটি উদ্ধার করেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা।
ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ'স কালেক্টরেট অব কাস্টমস এক বিবৃতিতে বলেছে: ‘বন্ধুত্বপূর্ণ একটি দেশের জাতীয় সংস্থা থেকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় যে, একটি ধূসর রংয়ের বেন্টলি মুলসান গাড়ি করাচি শহরের ডিএইচএ এলাকার একটি বাড়িতে পার্ক করা রয়েছে। ভি৮ অটোমেটিক এ গাড়িটির ভিআইএন নম্বর SCBBA63Y7FC001375, ইঞ্জিন নম্বর CKB304693।
দ্যা নিউজ বলছে, গাড়িটি চুরির পর সংযুক্ত ট্রেসিং ট্র্যাকার অপসারণ বা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় অপরাধীরা। এর ফলে উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ির সঠিক অবস্থান খুঁজে পায় যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের আরেক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানায়, গাড়িটি ইউরোপের একটি দেশের কনস্যুলেটের জাল নথিতে পাকিস্তানে আনা হয়। যখন করাচির ঐ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন তখন বেন্টলির গাড়ির পেছনে পাকিস্তানি রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত প্লেট দেখতে পান এফবিইউ কর্মকর্তারা।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্ধারকৃত এ গাড়ির চেসিস নম্বরটি যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের দেওয়া চুরি যাওয়া গাড়ির প্রদত্ত বিবরণের সঙ্গে মিলে গেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গাড়িটি অন্য একজনের মাধ্যমে কিনেছেন বলে গাড়ির (পাকিস্তানি) মালিক দাবি করেছেন। এ বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং গাড়ির বিক্রয় ও ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের কাস্টমস।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- করাচির সাউথ স্ট্রিটের বাসিন্দা শফি আহমেদের ছেলে জামিল শফি ওবং খায়াবন-ই-রুমির ১৫৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা রফিকের ছেলে নাভিদ বিলওয়ানি।
করাচির এক কাস্টমস কর্মকর্তা বলছেন, গাড়িটি কীভাবে করাচিতে এলো তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।