সাবিনা ইয়াসমিনের আজ জন্মদিন
প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
সাবিনা-ইয়াসমিনের-আজ-জন্মদিন
বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি, জীবন্ত এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এ দেশের গর্ব। শুধু দেশের গানেই তার যে বিরাট অবদান, তা দিয়েই তিনি এই বাংলার বুকে বেঁচে থাকবেন শত শত বছর। বছরজুড়ে বিভিন্ন সময়ে তার গাওয়া দেশের গান আমাদের পুলকিত করে, অনুপ্রাণিত করে। আর দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে তার গাওয়া দেশের গানই যেন আগামীদিনে নতুন করে পথ চলার সাহস যোগায়। দেশের গান ছাড়াও চলচ্চিত্রে হাজার হাজার গান গেয়েছেন তিনি।
সংগীতশিল্পী হিসেবে গত পাঁচ দশকে কয়েক হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। প্লেব্যাকের জন্য ১৩ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৪ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১২ সালে তাকে ‘বাংলা একাডেমি’ সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
গানে সাবিনা ইয়াসমিনের যাত্রা শুরু হয় মাত্র সাত বছর বয়সে। সে সময়ে তিনি স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নিতেন। তিনি ১৩ বছর গান শিখেছেন ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে। বেতারের ‘খেলাঘর’ অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন সাবিনা। এই অনুষ্ঠানে তার সঙ্গী ছিলেন আরেক বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ।
১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে রবিন ঘোষের সংগীত পরিচালনায় চিত্রপরিচালক এহতেশামের ‘নতুন সুর’ ছবিতে প্রথম ছোটদের গানে অংশ নেন। ১৯৬৭ সালে স্কুলে পড়ার সময়ই জহির রায়হান পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে আলতাফ মাহমুদের সুর-সংগীতে ‘মধু জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে বড়দের গানে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে সাবিনার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— শুধু গান গেয়ে পরিচয়, জন্ম থেকে জ্বলছি মা গো, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও, অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান, দুঃখ ভালবেসে প্রেমের খেলা, এ সুখের নেই কোনো সীমানা, বরষার প্রথম দিনে ও আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা।
তার দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে রয়েছে— জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো, সব কটা জানালা খুলে দাও না, ও আমার বাংলা মা, মাঝি নাও ছাড়িয়া দে, সুন্দর সুবর্ণ, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা।
ভারতের বরেণ্য সুরকার আরডি বর্মণের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কিশোর কুমার ও মান্না দের সঙ্গে দ্বৈত গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।