মোটরসাইকেলে খাবারের দোকান, আয়ের সঙ্গে শখ মেটাচ্ছেন যুবক
প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
মোটরসাইকেলে-খাবারের-দোকান-আয়ের-সঙ্গে-শখ-মেটাচ্ছেন-যুবক
বরাবরই ৯টা-৫টার চাকরির প্রতি জিবিনের ছিল চরম অনীহা। শুরু থেকেই ভেবে নিয়েছিলেন যে এক চাকরি বেশিদিন করবেন না। নতুন নতুন জায়গায় ঘোরা এবং নতুন জিনিস খুঁজে বের করতে ভালোবাসেন তিনি। এমনকি, এভাবেই উপার্জনের উপায় নিজেই খুঁজে বের করলেন জিবিন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সেখানেই গাড়ির মধ্যে খাবারের স্টল দিয়ে উপার্জন করেন এ যুবক।
জিবিন মধু জানান, ছোটবেলা থেকেই দেশ-বিদেশে ঘোরা আমার স্বপ্ন ছিল। তাই বড় হওয়ার পর থেকে বাড়ির কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে চলে যেতাম। যার জন্য বহুবার বাড়ির লোকজনের কাছে বকাও খেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ভেবেছিলাম পার্টটাইম চাকরি পাওয়া সহজ হবে। তবে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাওয়ার পরই আমি বুঝতে পারি এটা সহজ নয়। দিনের পর দিন নানান লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বেশ কিছু লোক অবশ্য সাহায্যও করেছিল। তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ এবং নেপাল ও মায়ানমার গিয়েছেন তিনি। সময় লেগেছে এক বছর তিন মাস ১৭ দিন।
বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে চাকরি খোঁজ করা সহজ ছিল না। মাঝে একটি ধাবায়ও কাজ করেছিলেন জিবিন। এরপর সিদ্ধান্ত নেন, বাইকেই একটি খাবারের স্টল দেবেন। সঞ্চয় বলতে ছিল, কিছু বাসনপত্র, সামান্য চাল ও অল্প টাকা। সেই দিয়েই দোকান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নুডুলস, রুটি, অমলেট ও চা ইত্যাদি বিক্রি করতেন তিনি। যে এলাকায় দোকান খুলেছিলেন জিবিন, সেই এলাকায় খাবারের দোকান ছিল না বললেই চলে। ফলে উপার্জনও ভালোই হচ্ছিল।
এদিকে ছেলের সাফল্য গোপন থাকে বাবা-মায়ের কাছে। ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখতে পান তারা। জিবিন মধু জানিয়েছেন, এখন এ খাবারের স্টল থেকে তিনি যা উপার্জন করে, সেই টাকা জীবনধারণ, এমনকি ঘোরার খরচ চলে যায়।