বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আত্মহত্যা বিরোধী সিনেমা ‘জীবন পাখি’

প্রকাশিত : ১২:২০ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

আত্মহত্যা-বিরোধী-সিনেমা-জীবন-পাখি

আত্মহত্যা-বিরোধী-সিনেমা-জীবন-পাখি

বর্তমান প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যার প্রবণতা অহরহ শোনা যায়। এমনকি প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন পেশার মানুষ বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে চলছে। থেমে নেই স্বাংস্কৃতিক জগতের মানুষরাও। তারাও একে একে নির্মাণ করছেন সিনেমা, নাটক, শর্টফিল্ম। 

সিনেমাটি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন নির্মাতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রী।

সিনেমার অভিনেত্রী মোহনা মীম বলেন, আমরা শুধুমাত্র চাই আমাদের সমাজকে আত্মহত্যার মত জঘন্যতম পাপ থেকে মুক্তি দিতে। আত্মহত্যার আগে যে অবস্থা থাকে একজন মানুষের এবং জীবন পাখি সিনেমা দেখার পর সেই মানুষটা অনেক পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি। মানুষের জীবন কিন্তু খুব সহজ নয়। এই জীবনের ভুল গুলো মুক্তির জন্য আমাদের আশেপাশের মানুষের সাপোর্ট দরকার। এই সাপোর্ট পেলে তারা রিকোভার হবে।

এই সিনেমার অভিনেতা সুজন হাবিব গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানান, এই সিনেমার গল্প মুলত সমাজ সচেতনতা তৈরিতে সক্ষম হবে আশা করি। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমরা ডিপ্রেশনে ভুগে থাকি। আরও অনেক কারণ থাকে। যেমন অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত অনেক সমস্যা আছে। সেই সমস্যা গুলোকে অভার কাম করাই জীবন।’

তিনি আরও জানান, ‘জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই আমাদেরকে বাচতে হবে। আর বেচে থাকার যুদ্ধকে উসকে দিতেই এই সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। সর্বশেষ দেশের মানুষকে অনুরোধ করব এই সিনেমাটি দেখুন।আমার সিনেমা হিট করার জন্য নয়। নিজের জীবন যুদ্ধ’র সাথে লড়াই করার জন্য এই সিনেমা দেখুন। নিজের পরিবার, কাছের মানুষকে বাচাতে এই সিনেমা দেখুন।’

এরই ধারাবাহিকতায় আসাদ সরকার নির্মাণ করলেন আত্মহত্যা বিরোধী সিনেমা ‘জীবন পাখি’। 

এই সিনেমার প্রিমিয়ার শো এবং সাংবাদ সম্মেলন করেন সিনেমার নির্মাতা, শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব(এনডিসি) ড.মো. আমিনুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। 

সর্বশেষ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আমাদের যেন এই ধরনের গল্পের সিনেমা নির্মাণ করতে না হয়। আশা করি সকলে আত্মহত্যার মত প্রবণতা থেকে দূরে থাকবে।