বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিতর্ক ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন সহজ নয়: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

বিতর্ক-ছাড়া-গণতান্ত্রিক-সমাজ-গঠন-সহজ-নয়-তথ্যমন্ত্রী

বিতর্ক-ছাড়া-গণতান্ত্রিক-সমাজ-গঠন-সহজ-নয়-তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের রাষ্ট্রকে যুক্তি, ন্যায় এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করতে চান। ন্যায়, জ্ঞান এবং যুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে সমাজে বিতর্ক থাকতে হয়। বিতর্ক না থাকলে ন্যায়ভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গঠন সহজ হয় না। 

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সারাদেশ থেকে ১০৪টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উদ্যোগে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হচ্ছে, যা বিতর্ক ও যুক্তিভিত্তিক এবং গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন অনেকদিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেনি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম কেন বিতর্ক প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হলো। তখন আমাকে টেলিভিশনের কর্মকর্তারা জানান- সরকারেরও অনেক সমালোচনা হয়, সেজন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি বললাম- সমালোচনা তো হতে হবে। সরকারেরও সমালোচনা হতে হবে।

সমালোচনা বিহীন সমাজ হতে পারে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সমাজে সমালোচনা থাকতে হবে। দায়িত্বে যারা থাকবে তাদের সমালোচনা অবশ্যই হবে। দায়িত্বে না থাকলে তো সমালোচনা নেই। বিতর্ক হতে হবে, তাহলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। তখন আমি সিদ্ধান্ত দিলাম বিটিভি’র দুটি কেন্দ্রে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করার।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ যদি যন্ত্রের মতো জড় পদার্থ হয়ে যায়, নৈতিকতা ও মানবিকতা হারিয়ে যায়, তাহলে তো মানুষ আর মানুষ থাকে না। এই ক্ষেত্রে এখানে পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির’ই ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারো চেয়ে কারো ভূমিকা কম নয়।

বিজয়ী এবং রানার-আপ দুই দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। কখনো তৃতীয় হইনি। আমি নিজের জীবনের পেছনে ফিরে তাকালে বুঝি, যারা আজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে দক্ষতা ও কনফিডেন্স তৈরি হবে। জীবন চলার পথে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ তাদেরকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ী দল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও রানার-আপ দল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রতিযোগীদের হাতে ট্রফি ও সম্মাননার চেক তুলে দেন মন্ত্রী। পরে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী ও কলাকুশলীদের সুবিধার্থে পুনরায় সংস্কার করা বিটিভি ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের স্টুডিওতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার।