নারীদের ব্যাপারে নমনীয় তালেবান
প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
নারীদের-ব্যাপারে-নমনীয়-তালেবান
গোষ্ঠীটির ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারে নেই কোনো নারী প্রতিনিধি। এবার অবশ্য বরফ গলতে শুরু করেছে কট্টর তালেবানদের। নারীদের কর্মক্ষেত্র ও পড়াশোনার ব্যাপারে শিথিলতার অভিপ্রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
তালেবান সরকারের ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদেক আকিফ মুহাজির বুধবার জানান, ‘আমি অবশ্যই বলব যে ইসলাম নারীদের শিক্ষার অধিকার দিয়েছে, ইসলাম নারীদের কাজের অধিকার দিয়েছে, ইসলাম নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার অধিকার দিয়েছে। ইসলাম যদি এর অনুমতি দিয়ে থাকে, তাহলে আমি এটা নিষিদ্ধ করার কে? আমরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের এবং মহিলাদের জন্য ‘নিরাপদ পরিবেশ’ তৈরি করতে কাজ করছি।’
রক্ষণশীল গোষ্ঠীটি দেশ দখলের পর মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষার ওপর আরোপ করে নিষেধাজ্ঞা। নারীদের স্বাধীনতায়ও দেয় বাধা। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে তালেবান অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, সারা দেশে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে, নারীদের কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরতে এবং জনসমক্ষে তাদের মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে এবং নারীদের ঘনিষ্ঠ পুরুষ ছাড়া দূর-দূরত্বে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আরো পড়ুন>> ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন গুগল কর্মী
তালেবান বলছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলো মহিলাদের ‘সম্মান এবং জাতীয় স্বার্থ’ রক্ষার্থেই গ্রহণ করা হয়েছে।
যদিও এবার ক্ষমতা গ্রহণের পর সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নারীর অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এটি তার অঙ্গীকার থেকে পিছিয়ে গেছে।
মুহাজির বলেন, বর্তমানে ‘অনেক নারী’ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন, যার মধ্যে ‘আগের সরকারের কর্মী’ রয়েছেন। ‘আমি এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য কাজ করছি যেখানে তারা এমনভাবে কাজ করতে পারে যা তাদের সম্মান রক্ষা করে, তবে আগের প্রশাসনের মতো এমন কঠোর হওয়া উচিত নয়।’
কিন্তু চলতি বছর ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশনের (আইএলও) একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, তালেবান দখলের পর আফগান নারীদের কর্মসংস্থানের মাত্রা প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে নারীদের চাকরি হারানোর মাত্রা ২৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। কর্মজীবী আফগান মহিলারা জানিয়েছেন, তালেবান সরাসরি মহিলা সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করেনি, এটি মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে এবং তাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা