আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
আর্জেন্টিনার-ভাইস-প্রেসিডেন্টকে-হত্যার-চেষ্টা
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী বুয়েনস আইরেসে অবস্থিত নিজের বাড়ির বাইরে হওয়া এই ঘটনায় কির্চনারের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুর্নীতির এক মামলায় আর্জেন্টিনার এ ভাইস প্রেসিডেন্টের বিচার চলার মাঝে এ ঘটনা ঘটল। ঘটনার সময় কির্চনার আদালত থেকে ফিরছিলেন। তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
কির্চনারের মুখের কাছে পিস্তল নিয়ে আসার ঘটনাকে ‘হত্যা চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী সার্জিও মাসা।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “যখন বিতর্কের উপরে ঘৃণা ও সহিংসতা প্রাধান্য পায়, সমাজ ধ্বংস হয়ে যায় এবং হত্যা চেষ্টার মতো এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।”
আরো পড়ুন>> রাষ্ট্রীয়ভাবে হচ্ছে না গর্বাচেভের শেষকৃত্য, থাকছেন না পুতিন
স্থানীয় গণমাধ্যমের দেখানো ফুটেজে দেখা গেছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি কির্চনারের মাথা থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে একটি পিস্তল নিয়ে এসে ভাইস প্রেসিডেন্টকে গুলি করার চেষ্টা করেন। কির্চনার সঙ্গে সঙ্গে মাথা নামিয়ে নেন, ওই পিস্তল থেকে কোনো গুলিও বের হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্য এক ভিডিওতে কির্চনার ও ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর মাঝে উপস্থিত জনতা দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে বলে মনে হয়েছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র পরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, কির্চনারের বাড়ির কাছ থেকে ‘সশস্ত্র’ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলের কয়েক মিটার দূরে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।
আটক ব্যক্তি ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত হতে পারেন বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি।
৬৯ বছর বয়সী কির্চনারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিচার চলাকালে গত কিছুদিন ধরে রাজধানীতে তার বাড়ির বাইরে শত শত সমর্থককে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন>> হামলার মধ্যেই ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাতিসংঘ দল
কির্চনারের বিরুদ্ধে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সরকারি তহবিলের অর্থ সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনায় জড়িত থাকা এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক এ প্রেসিডেন্টের ১২ বছরের জেল ও রাজনীতি থেকে আজীবনে নিষিদ্ধের দণ্ড চাইতে পারবেন কৌঁসুলিরা। তবে সেনেটের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এখন তেমন কিছু হলেও সংসদীয় দায়মুক্তি পাবেন কির্চনার।
আর্জেন্টিনার সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি দিলে কিংবা আগামী বছরের শেষদিকে হওয়া নির্বাচনে সেনেটের আসন হারালেই কেবল তাকে কারাগারে পাঠানো যাবে।
এ মামলার রায় হতে হতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।