শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ায় শিক্ষককে গাছে বেঁধে পেটালো শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত : ১০:৫০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার

পরীক্ষায়-কম-নম্বর-দেওয়ায়-শিক্ষককে-গাছে-বেঁধে-পেটালো-শিক্ষার্থীরা

পরীক্ষায়-কম-নম্বর-দেওয়ায়-শিক্ষককে-গাছে-বেঁধে-পেটালো-শিক্ষার্থীরা

ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের গণিত শিক্ষক ও এক কেরানিকে গাছে বেঁধে পিটিয়েছে শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার ভারতের ঝাড়খণ্ডের ডুমকা জেলার একটি আবাসিক স্কুলে ঘটেছে এ ঘটনা। মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি গোপীকান্দার থানার অন্তর্গত একটি সরকারি তফসিলি উপজাতি আবাসিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির পরীক্ষায় ১১ শিক্ষার্থী ডিডি (ডাবল ডি) গ্রেড পায়, যা অকৃতকার্যের সমান হিসেবে বিবেচিত। গত শনিবার এ ফলাফল ঘোষণা করে ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (জেএসি)।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষক কম নম্বর দেওয়ার কারণেই তারা অকৃতকার্য হয়েছে। আর কেরানি সেই ফলাফল জেএসির ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিলেন বলে অভিযোগ।

গোপীকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিত্যানন্দ ভোক্তা বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ করতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

তিনি বলেন, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের পর আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটি অভিযোগ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। বলেছে, এতে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম সুমন কুমার এবং কেরানি সোনেরাম চৌরে। তারাও কোনো লিখিত অভিযোগ করতে রাজি হননি।

ঘটনা তদন্তে পুলিশের সঙ্গে স্কুলে গিয়েছিলেন গোপীকান্দার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) অনন্ত ঝা-ও। তিনি বলেছেন, আবাসিক স্কুলটিতে ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে এবং ঘটনায় তাদের বেশিরভাগই জড়িত ছিল।

অনন্ত বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষক আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু পরে অজ্ঞাত কারণে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এটি শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা হতে পারে।

তিনি জানান, স্কুলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাস দুই দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বিডিও আরও বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর এবং যে তারিখে সেগুলো অনলাইনে আপলোড করা হয়েছিল তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তত্ত্বীয় নাকি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তারা কেবল একটি গুজবের ওপর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।