ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশে সরকার সহায়তা দিচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার
ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর-সংস্কৃতি-বিকাশে-সরকার-সহায়তা-দিচ্ছে-খাদ্যমন্ত্রী
বুধবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরের শিবপুরে ত্রিশূল কার্যালয়ে ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশ ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে মতবিনিময় সভায়’ এসব কথা বলেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নানা উৎসব আর আন্দোলন নেতৃত্ব দান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্য। সেই নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেশ ও দেশের বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরতেই ত্রিশূলের যাত্রা। ত্রিশূল সে কাজটি ভালোভাবেই করছে।
মুক্তিযুদ্ধে নৃ-গোষ্ঠীর অনেকেই অংশ নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা সমাজের মূল স্রোত থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে এটা সত্য, তবে নতুন প্রজন্মের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এখন এগিয়ে আসছে। এ সময় তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত হয়ে সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
ত্রিশূলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসান,পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক।
এছাড়া রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়া মারিয়া পেরেরা, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহম্মদ, পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ, সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহজাহান চৌধুরী, নিয়ামতপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ান এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ইসরাত জেরিন মিনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে ‘সোপার্জিত কৃষ্টির নীত’ স্লোগানে ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর এলাকার ৩০ জন সাঁওতাল শিল্পী নিয়ে ‘ত্রিশূল’ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৌশলী ও নৃত্যশিল্পী তৃণা মজুমদার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গ্রামে বেশকিছু সাংস্কৃতিক দল গড়ে তুলেছে সংগঠনটি।