বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাল থেকে চাল পাবেন ৩০ টাকা দরে

প্রকাশিত : ০৫:১০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার

কাল-থেকে-চাল-পাবেন-৩০-টাকা-দরে

কাল-থেকে-চাল-পাবেন-৩০-টাকা-দরে

নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার ওএমএসের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু করছে। 

এছাড়া, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও দেওয়া হবে ওএমএসের চাল। 

বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজিমপুরে ওএমএস কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

জানা গেছে, সারা দেশে ওএমএসের কেন্দ্র সংখ্যা হবে ২ হাজার ৩৬৩টি। এরমধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে। আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। ঢাকা মহানগর, শ্রমঘন ৪টি অঞ্চল ও বিভাগীয় শহরের মোট ৪০৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন হারে আটার মোট বরাদ্দ ২০১ দশমিক ৫ টন। ঢাকা মহানগরের ট্রাক সেল ৫০টি কেন্দ্রে, প্রতিটির বরাদ্দ ৩ দশমিক ৫ টন করে। এছাড়া ঢাকা মহানগরে আরো ১৪৭টি দোকানে চাল বিক্রি করা হবে, সেখানে বরাদ্দ ২ টন করে। 

ঢাকা মহানগর ছাড়াও ১৯টি ট্রাকের মাধ্যমে শ্রমঘন এলাকা ও বিভাগীয় শহরে প্রতিটিতে ২ টন করে চাল বিক্রি হবে বলেও জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন> আত্মহত্যায় প্ররোচনা: ব্র্যাক ছাত্রী সানজানার বাবা গ্রেফতার

ঢাকা মহানগরের ৫০টি ট্রাক সেল ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রে (২ হাজার ৩১৩টি) চালের বরাদ্দ ২ টন করে। দুই হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে দৈনিক চালের বরাদ্দ ৪ হাজার ৮০১ টন। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) চালের বরাদ্দ এক লাখ ৫ হাজার ৬২২ টন। ৪০৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) আটার বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৩৩ টন। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ, এপ্রিল-এ ৫ মাস পরিচালিত হয়। সারাদেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতিমাসে বিতরণ এক লাখ ৫০ হাজার ৩১৫ টন চাল।

এই চাল টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি হবে না। কারণ, চাল খাদ্য অধিদফতরের ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি হয়। তাই টিসিবির কার্ডধারীকে চাল কিনতে ওএমএস ডিলারদের কাছে যেতে হবে। ওএমএস ডিলাররাই চাল বিক্রি করবে। টিসিবির দৈনিক বাজার পণ্য মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চাল সর্বোচ্চ ১৫.৩১ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার তেল ১৪ শতাংশ, মসুর ডাল ২.৩৮ শতাংশ, পেঁয়াজ ১৩.৩৩ শতাংশ ও প্রতি কেজি চিনি ৯.৮৮ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।