শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলা গাড়িতে করে হাসপ

প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার

অ্যাম্বুলেন্স-না-পেয়ে-অন্তসত্ত্বা-স্ত্রীকে-ঠেলা-গাড়িতে-করে-হাসপ

অ্যাম্বুলেন্স-না-পেয়ে-অন্তসত্ত্বা-স্ত্রীকে-ঠেলা-গাড়িতে-করে-হাসপ

স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। তবে ফোন করার পর ঘণ্টা দু’য়েক অপেক্ষা করেও কোনো অ্যাম্বুলেন্স পেলেন না স্বামী। বাধ্য হয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে ঠেলা গাড়িতে করেই হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তিনি।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায়।

বুধবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এদিকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলা গাড়িতে করে স্বামীর হাসপাতালে নেয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায় নিজের গর্ভবতী স্ত্রীকে ঠেলা গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম কৈলাশ আহিরওয়াল। অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ঠেলা গাড়িতে চাপিয়েই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্ত্রীকে ঠেলা গাড়িতে চাপিয়ে স্থানীয় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছনোর পর কৈলাশের অভিযোগ, সেখানে কোনো নার্স বা চিকিৎসক ছিলেন না।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রানেহ গ্রামে মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটে। কৈলাশ নামের ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ঠেলা গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

হাট্টা ব্লকের মেডিকেল অফিসার আর পি কোরি জানিয়েছেন, এই ভিডিওটির কথা তিনি জানতে পেরেছেন এবং ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে কেন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করা হয়নি তা নোটিশ পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী কৈলাশ আহিরওয়াল জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের হেল্পলাইন নম্বর ১০৮-এ ফোন করেন। কিন্তু দু’ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছনোর কারণে তিনি ঠেলা গাড়িতে করে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দিতে বাধ্য হন।

তিনি আরো বলেন, এরপর তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাট্টাতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তাকে দামোহ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানেই কৈলাশের স্ত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।