শুভ জন্মদিন ঋতুপর্ণ
প্রকাশিত : ০২:২০ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার
শুভ-জন্মদিন-ঋতুপর্ণ
১৯৯২ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘হিরের আংটি’র চলচ্চিত্রায়নের মাধ্যমে নীরবে প্রবেশ করেছিলেন বাংলা সিনেমা জগতে। ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় ছবি উনিশে এপ্রিল মুক্তির পরই সমালোচকদের নজরে আসেন। বোদ্ধা দর্শকদের প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবেও দারুণ সফলতা পায় ‘উনিশে এপ্রিল’।
ঋতুপর্ণ ঘোষকে বলা হতো আরবান চলচ্চিত্রের সফল রূপকার। ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায় জন্ম নেন ঋতুপর্ণ। বাবা মা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবা সুনীল ঘোষ ছিলেন তথ্যচিত্র-নির্মাতা ও চিত্রকর। মেধাবী ছাত্র ঋতুপর্ণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষে যোগ দেন বিজ্ঞাপনী সংস্থায়।
‘উনিশে এপ্রিল’র সফলতার পর তার হাত থেকে একের পর এক বেরোতে থাকে দুর্দান্ত সব সিনেমা। বাঙালির ছবির জগতে ঋতুরাজ চলতে থাকে, দহন, বাড়িওয়ালি, অসুখ, উৎসব আর তিতলি, শুভ মহরত, চোখের বালির মধ্য দিয়ে। ঋতু পরিবর্তনের মতোই সিনেমায় নিজেকে বারবার পাল্টেছেন ঋতুপর্ণ। নির্মাণ করেন, রেইনকোট, অন্তরমহল, দোসর, লাস্ট লিয়ার, নৌকাডুবি, চিত্রাঙ্গদা।
ঋতুপর্ণের চলচ্চিত্রে বারবার উঠে এসেছে মধ্যবিত্ত জীবন আর আশা আকাঙ্ক্ষার গল্প। শেষ দিকের ছতিগুলোতে প্রাধান্য পায়
জীবন, সম্পর্ক আর যৌনতা বিষয়ে নানা দিক। তবে সিনেমার বিষয় হিসেবে সম্পর্ক বরাবরই প্রিয় ছিল ঋতুর। মোট ১২বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ঋতুপর্ণ। এছাড়া দেশে বিদেশে পেয়েছিলেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।