সময় এসেছে সুন্দরবনে যাওয়ার
প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার
সময়-এসেছে-সুন্দরবনে-যাওয়ার
মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে টানা তিনমাস বন্ধ ছিল সুন্দরবন পর্যটন এলাকা। পহেলা সেপ্টেম্বর থেকেই এই প্রতিবন্ধকতা আর থাকছে না। উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবনের পর্যটন এলাকা। পর্যটকদের আনাগোনায় ফের মুখর হয়ে উঠবে পুরো সুন্দরবনের নদী-খাল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
পদ্মাসেতু চালুর ফলে সুন্দরবনে ঘুরতে যাওয়া এখন অনেকটাই সহজ। বনবিভাগ জানিয়েছে, মূলত মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই বনবিভাগ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কারণ প্রজনন মৌসুমে বনের অভ্যন্তরে মাছ শিকার ও পর্যটনবাহী নৌযান চলাচল করলে প্রজনন বিঘ্নিত হয়। তাই দীর্ঘ তিনমাস মাছ আহরণ ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার।
সুন্দরবনের সৌন্দর্য অটুট রাখার জন্য পর্যটকদের জন্য আছে নির্দেশনা। ট্যুর অপারেটর কামরুল ইসলাম দৈনিক প্রভাতীকে জানিয়েছেন, পর্যটকরা যাতে নদী ও বনের ভেতরে খাবারের প্যাকেট, পলিথিনসহ কোনো ময়লা-আবর্জনা না ফেলেন সেদিকে গাইডরা নজরদারি করবেন।
কাইনমারী গ্রামের ভুক্তভোগী জেলেরা বলেন, তিনমাস বনের নদী-খালে মাছ ধরতে না পেরে চরম আর্থিক কষ্টে দিন কাটিয়েছি। আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও দীর্ঘদিনে কার্ড পাইনি। যারা জেলে না এমন লোকও কার্ড পেয়েছেন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও একটি কার্ড পেলাম না।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত জানিয়েছেন, একটানা তিনমাস সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকায় সুন্দরবনে মাছের পরিমাণ ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমৃদ্ধ হয়েছে বনজ সম্পদ। তাই বন সুরক্ষিত রাখতে পর্যটকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু পদ্মাসেতু চালু হয়েছে, সুন্দরবনে আগের তুলনায় পর্যটক বাড়বে। তাই বনের অভ্যন্তরে নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি আগের স্পটগুলোও সংস্কার করে দর্শনার্থীদের ভ্রমণ উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর ও জেলেরা বনের সুরক্ষায় বিধিনিষেধ মেনে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল ও পর্যটন পরিবহণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সচেতন পর্যটকের পরিচয় দিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবন এলাকায়, পদ্মাসেতু হয়ে ভ্রমণের আনন্দ সুন্দরবন দেখার আনন্দকে নির্বিঘ্ন ও সুন্দর করতে পারে।